ইসকনের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছিল ২৩৬ কোটি টাকা

ইসকনের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছিল ২৩৬ কোটি টাকা

বাংলাকণ্ঠ রিপোর্ট:
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কুমার দাসকে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। এই টাকা উত্তোলনও করে নিয়েছেন তিনি। আর্থিক গোয়েন্দাদের ধারণা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরেও বিপুল অর্থ পেয়েছিল বিতর্কিত এই ধর্মীয় নেতা। তিনি এই বিপুল অর্থ কোন খাতে খরচ করেছেন তা নিয়ে অনুসন্ধান চালাতে সিআইডিসহ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) বা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের ২০২টি অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়েছে ২২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ব্যাংক হিসাবগুলোতে জমা রয়েছে ১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে, ইসকনের বিতর্কিত নেতা চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কুমার দাসের নামে তিন কোটি ৯২ লাখ টাকা জমা হয়েছিল। যার প্রায় পুরো অর্থই উত্তোলন করা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে কারা অর্থ মা দিয়েছিল ও জমাকৃত অর্থের উৎসের সন্ধানে কাজ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে এসব অর্থ তিনি কি কাজে ব্যবহার করেছেন তাও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ৩০ নভেম্বর বিতর্কিত নেতা চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কুমার দাসসহ ইসকনের ১৭ জনের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন ৩০ দিন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছিল বিএফআইইউ। ওইদিনই বিএফআইইউ এসব ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছিল। যাদের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করা হয়, তারা হলেন- চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, কার্ত্তিক চন্দ্র দে, অনিক পাল, সরোজ রায়, সুশান্ত দাস, বিশ্ব কুমার সিংহ, চণ্ডীদাস বালা, জয়দেব কর্মকার, লিপি রানী কর্মকার, সুধামা গৌর দাস, লক্ষণ কান্তি দাশ, প্রিয়তোষ দাশ, রূপন দাস, রূপন কুমার ধর, আশীষ পুরোহিত, জগদীশ চন্দ্র অধিকারী ও সজল দাস।
এর আগে ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ইসকন বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে বিএফআইইউ।
এএ/

Share your comment :