গবেষণা:গাছের পাতায় কমবে তাপমাত্রা
বাংলাকণ্ঠ রিপোর্ট:
উষ্ণ থেকে উষ্ণতর হয়ে উঠছে ঢাকা মহানগর। এতে প্রাণবৈচিত্র্য পড়েছে হুমকির মুখে। তাপপ্রবাহের কারণে মানুষের কর্মক্ষমতা যাচ্ছে কমে। কাজে মিলছে না স্বস্তি। অথচ একটু পরিকল্পনা করে গাছ লাগালেই দিনে তাপমাত্রা কমবে, কিন্তু রাতে বাড়বে। বিষয়টি উঠে এসেছে জাতীয় সংসদ ভবন ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে করা এক গবেষণায়।
দুটি ক্যাম্পাসের ১৮টি জায়গাকে নমুনা হিসেবে নিয়ে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত দীর্ঘ ৪ মাস ধরে গবেষণাটি করা হয়। গবেষণায় তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার মাত্রা সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত আর্দ্রতা বেশি হলে গরম বেশি অনুভূত হয়। শহরে কতটুকু বনভূমি অপরিহার্য, সে বিষয়টি সামনে রেখে এ গবেষণা করা হয় বলে জানান গবেষক কাজী মো. আবু সাঈদ। তিনি জাতীয় সংসদ ভবনের গণপূর্ত বিভাগের আরবরিকালচারের উপবিভাগীয় কর্মকর্তা।
কাজী মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘একটি াছের কী কী বৈশিষ্ট্য থাকলে তা তাপমাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখে বা কতটুকু রাখে, গবেষণায় তা দেখা হয়েছে। এতে গাছের পাতার রঙ, ক্যানপি উচ্চতা ও আকার-আকৃতি কেমন হলে সেটি ভূমিকা রাখতে পারবে, সেসব দিক যাচাই করে দেখা হয়েছে। কোনো কোনো গাছের পাতার বিন্যাস পাতলা। তাই সূর্যের আলো সহজেই ঢুকতে পারে। আবার কিছু গাছ এমন যে, সহজে সূর্যের আলো ঢুকতে পারে না। তাই স্থান বিবেচনা করে সে অনুযায়ী গাছ লাগানো প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে আরও কিছু দিক দেখা দরকার। যেমনÑ আমরা কি একই প্রজাতির গাছ লাগাব? নাকি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগাব? লম্বা লাইনে লাগাব, নাকি বাগান করে লাগাব? সমস্ত দিক পর্যালোচনা করার জন্য আমরা প্রতি ৩০ মিনিট পরপর ১৮টি জায়গার তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার ডেটা সংগ্রহ করেছি।’
গবেষণায় দেখা গেছে, গাছের বাগানে দিনের বেলা তাপমাত্রা কমে। কিন্তু রাতে উষ্ণতা বাড়ে। তাই শহরে বসবাসের জন্য গাছপালাসমৃদ্ধ এলাকা বাছাই করা দরকার।
প্রতি বছরই বাড়ছে রাজধানীর তাপমাত্রা
বাংলাদেশের গত ৪৩ বছরের আবহাওয়ার তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ ও নরওয়ের ৫ জন বিশেষজ্ঞ মিলে ‘বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল জলবায়ু : আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণে ১৯৮০ থেকে ২০২৩ সালের প্রবণতা এবং পরিবর্তন’ শীর্ষক একটি গবেষণা করেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেটি প্রকাশিত হয়।
এ গবেষণার প্রাপ্তি প্রসঙ্গে গবেষক ড. মো. বজলুর রশিদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘রাজধানীতে ১৯৮০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রাক-বর্ষায় (মার্চ-মে) শূন্য দশমিক ৯, বর্ষায় (জুন-সেপ্টেম্বর) শূন্য দশমিক ৩৩ এবং বর্ষা পরবর্তীকালে (অক্টোবর-নভেম্বর) শূন্য দশমিক ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। সেখানে শীতকালে (ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি) কমেছে শূন্য দশমিক ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তা ছাড়া ২০০০ সালের আগে অক্টোবর-নভেম্বরে তাপপ্রবাহ বা গরম দিনের সংখ্যা ছিল না। ২০০৫ সালের পর বিশেষ করে ২০১০ সালের পর এই গরমের দিনকাল বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে রাজশাহী বিভাগে।’
অপর একটি গবেষণায় মাসিকভিত্তিতে ঢাকার তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার দেখানো হয়েছে। তাতে দেখা যায়, ১৯৮১ সালের ানুয়ারিতে ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটি ২০২২ সালে দশমিক ৩ ডিগ্রি বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অর্থাৎ ৪১ বছরে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২৩ সালে ২ দশমিক ৫ ডিগ্রি বেড়ে তাপমাত্রা হয়েছে ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ ২৩ বছরে বেড়েছে ২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০০০ সালের মার্চে তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি। ২০২২ সালে তা ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি বেড়ে দাঁড়ায় ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২০০০ সালের এপ্রিলে তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি। ২০২৩ সালে তা ২ দশমিক ৩ ডিগ্রি বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২০০০ সালের আগস্টে ছিল ২৯ দশমিক ১ ডিগ্রি। এটি ২০২২ সালে ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বরে ছিল ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি ও ২০২৩ সালে সেখানে ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি বেড়ে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
কী পাওয়া গেল গবেষণায়
গবেষণায় দেখা গেছে, পরিবেশ শীতল করা ও রাখার ক্ষেত্রে গাছের বৈশিষ্ট্য, প্রজাতি এবং গাছ লাগানোর পদ্ধতি অর্থপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাতে দেখা যায়, পাতার রঙ, গাছের আকার, গাছের প্রজাতি ও রোপণের ধরনের কারণে তাপমাত্রা কমে আসে এবং পরিবেশ শীতল করার ক্ষেত্রে এগুলো ১৮-৩৪ শতাংশ প্রভাব বিস্তার করে। একইভাবে ক্রাউন ডায়ামিটার এবং ক্যানোপি কভার পরিবেশের যে পরিমাণ তাপমাত্রা কমায় তা শীতল করার ক্ষেত্রে ৬৬-৮২ শতাংশ অবদান রাখে। যেমনÑ সজনে গাছের মতো কম ঘন পাতার গাছের বদলে কোনো স্থানে আম-কাঁঠালের মতো ঘন পাতার গাছ থাকলে তাপমাত্রা দশমিক ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে আসতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, যেসব গাছের পাতার কারণে ৮৯-৯৪ শতাংশ সরাসরি সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারে না, সেগুলো রোপণের ফলে তাপমাত্রা কমবে ১ থেকে ২ ডিগ্রি পর্যন্ত। যেসব গাছের পাতার বিন্যাস বেশি ঘন ও বড়, সে ধরনের গাছের কারণে তাপমাত্রা কমবে ১ থেকে ২ ডিগ্রি পর্যন্ত। দেবদারুর মতো ছোট্ট মাথাযুক্ত গাছ যেখানে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমিয়ে থাকে, বকুল ও আমের মতো বড় তথা ঝোপওয়ালা গাছ সেখানে তাপমাত্রা কমিয়ে থাকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গাছের ক্রাউন রেশিও বা কাণ্ড ও বাকি অংশ বা ডালপালা ও পাতার অনুপাত যদি বেশি হয়, তাহলে তা তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমাতে প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করলে তাপমাত্রা কমতে পারে ১ দশমিক ৫ থেকে ২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। শুধুই এক প্রকারের গাছ রোপণ করলে তাপমাত্রা কমে থাকে ১ থেকে দেড় ডিগ্রি তাপমাত্রা। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, যেখানে গাছ আছে সেই স্থান রাতে শূন্য দশমিক ৫ থেকে ২ ডিগ্রি উষ্ণ থাকে।
বাংলাদেশের তাপপ্রবাহ নিয়ে আন্তর্জাতিক গবেষণা
আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন’ ও ‘রেডক্রস ক্লাইমেট সেন্টার’ যৌথভাবে একটি গবেষণা পরিচালনা করে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা (ইউএনওসিএইচএ) থেকে এটি লতি বছরের ১৭ মে প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, তাপপ্রবাহের কারণে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৬ জেলার অধিবাসীদের নানা ক্ষতি হয়েছে। এতে দেশের ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা নানাভাবে ক্ষতির শিকার। মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে অন্তত ১০ লাখ মানুষের।
তাপপ্রবাহের বিপদে ঢাকার ৯০ শতাংশ এলাকা
২০২৩ সালের অতিউষ্ণ পরিস্থিতির পর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং ক্লাইমেট সেন্টার যৌথভাবে ঢাকা শহরের উষ্ণতার বিপদ নিয়ে ‘তাপপ্রবাহ : বাংলাদেশ, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা’ শীর্ষক একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল এটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, ঢাকার ৯০ শতাংশ অঞ্চল তাপপ্রবাহের কারণে বিপদে রয়েছে। এসব স্থানের মধ্যে রয়েছেÑ মিরপুর, কামরাঙ্গীরচর, গোড়ান, গাবতলী, টঙ্গী, বাসাবো, বাবুবাজার, শহীদনগর, জুরাইন, পোস্তগোলা, হাজারীবাগ, যাত্রাবাড়ী, নাখালপাড়া, তেজকুনীপাড়া, কুর্মিটোলা, সায়েদাবাদ, কামারপাড়, আজমপুর, আদাবর, মোহাম্মদপুর ও মহাখালী। গ্রীষ্মের পুরো সময় এসব এলাকায় থাকছে তাপপ্রবাহের বিপদ। তবে যেসব অঞ্চলে গাছপালার পরিমাণ বেশি, যেমনÑ রমনা পার্ক, শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় উষ্ণতার বিপদ কম।
তাপমাত্রা কমাতে বা প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় গাছ লাগাতে হবে
গবেষণার তত্ত্বাবধায়কদের একজন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহরিয়ার জামান। তিনি বলেন, ‘গ্রাম, শহর যেখানেই হোক না কেন, তাপমাত্রা কমাতে চাইলে ডালপালা বেশি ছড়ানো-ছিটানো থাকেÑ এমন প্রজাতির গাছপালা লাগাতে হবে। ফলদ ও বনজ উভয় প্রজাতির গাছ রোপণ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন লেয়ারের গাছ থাকলে তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে যায়। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে তাপমাত্রা কমাতে ছোট ছোট ফলদ গাছ রোপণ করতে হবে।’
উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানী বা বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে সরকারিভাবে যেসব গাছ লাগানো হয়, তাতে তাপমাত্রা কমাবে বা প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা পাবেÑ এমন চিন্তা মাথায় রেখে গাছপালা লাগানো হয় না। এসব স্থানে মূলত সৌন্দর্যবর্ধন করতে গাছ লাগানো হয়।
রাজধানীতে গাছ রোপণে কোন দিকটিকে কেন প্রাধান্য দেওয়া হয়? জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, ‘কোন প্রকারের গাছ লাগালে কী পরিমাণ তাপমাত্রা কমে, এসব চিন্তা করে গাছ লাগানো হয় কিনা বলাটা কঠিন। কোন প্রাণী বা পাখি এবং কীটপতঙ্গ বেঁচে থাকতে পারবে, তাও চিন্তা করা হয় না। গত ২৪ বছর ধরে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষকতা করছি। এখনও শুনিনি কোথায় কী ধরনের গাছপালা লাগাতে হবেÑ তা নিয়ে আমাদের মতামত চাওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘কোথায় কোন কোন গাছ লাগালে তাপমাত্রা কমবে, পাতাগুলোর বিন্যাস, রোদের তাপ কতটা বাধা দিতে পারবেÑ এসব বিবেচনায় নিতে হবে।’
তাপপ্রবাহের জন্য ক্ষতিপূরণের সুযোগ রয়েছে
গত ১১ নভেম্বর শুরু হওয়ার পর আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত আজারবাইজানের বাকুতে চলছে জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন তথা ‘কনফারেন্স অব দ্যা পার্টিস (কপ-২৯)’। এবারের সম্মেলনে অর্থনৈতিক বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাপপ্রবাহের ক্ষতিপূরণ আদায় নিয়ে বিশেষজ্ঞরা তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।
‘ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহ ও বন্যার জন্য গ্রিনহাউস গ্যাস বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং কতটা দায়ী সে তথ্য বিশ্বে থাকলেও আমরা কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারিনি’, বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তাপপ্রবাহ সৃষ্টির জন্য গ্লোবাল ওয়ার্মিং কতটা দায়ী, কেনিয়ায় তা নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। এখন লস অ্যান্ড ড্যামেজে এটি নিয়ে অভিযোগ করে ক্ষতিপূরণ আদায়ের জায়গা তৈরি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে আমাদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে তথ্য-প্রমাণ সমন্বয় করার বিকল্প নেই। তাই রাষ্ট্রকে এসব প্রমাণ সংগ্রহে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।’
এএ/
Share your comment :