জামায়াত কেন এত লোক আনতে চায় ঢাকায়?

Jamat
  © সংগৃহীত

বিগত ১৬ বছরে দমন-পীড়নের শিকার হওয়া জামায়াত যেন ফিনিক্স পাখির মত ঘুরে দাঁড়িয়েছে রাজনীতির মাঠে। বিশেষ করে গত এক বছর আগে জুলাই বিপ্লবের পর নিজেদের গুরুত্ব বুঝাতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করলেও আজ (১৯ জুলাই) প্রথমবারের মত সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণে বড় পরিসরে জাতীয় সমাবেশে করতে যাচ্ছে তারা, যেখানে কমপক্ষে ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটানোর র্টাগেট নিয়েছে ধর্মভিত্তক এ দলটি।

প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ কেন এত লোক ঢাকায় আনতে চায় তারা?

জানা গেছে, আগামী সম্ভাব্য নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু ইস্যুকে সামনে রেখে জাতীয় এ সমাবেশ ডেকেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বাংলাকন্ঠকে জানান, জুলাই বিপ্লবের এক বছর পার হতে চললেও এখনো জুলাই সনদ ঘোষণা অনেকটাই অন্ধকারে রয়েছে। দলটি চায় সরকার যেন অবিলম্বে এ সনদের ঘোষণা দেয়। সেজন্য ঐকমত্য কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে তারা সরকার গঠিত কমিশনকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং তাগিদও দিয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে সে ঘোষণা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

দলটির নেতাদের ভাষ্য, বড় একটি রাজনৈতিক দলের অনীহা ও অসহযোগিতার কারণে সরকার এ ঘোষণার চূড়ান্ত রূপরেখা দাঁড় করাতে পারছে না। তাই এ সমাবেশের মাধ্যমে সরকার ও অপর বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি চাপ ও বার্তা দেওয়ার জন্যই বিরাট জনসমাগমের আয়োজন করা।

অপর একটি সূত্র জানায়, সরকার ঘোষিত সম্ভাব্য নির্বাচন যদি আগামী বছেরর ফেব্রুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিত হয় সেক্ষেত্রে এ সমাবেশের মাধ্যমে দলটি এককভাবে নির্বাচনের শো ডাউনের কাজটিও সারতে চায়। কারণ ইতিমধ্যে তারা ২৮৯ আসনে দলীয় প্রার্থীদের প্রাথমিক মনোনয়নও দিয়েছে। স্ব-স্ব এলাকার দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে শক্তভাবে কাজ করতে মাঠের নেতাকর্মীদের এ সমাবেশ থেকেও একটি নির্দেশনা দিতে চায় । 

এদিকে সরকার কর্তৃক চলমান সংস্কার ইস্যুতে বিবদমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সাময়িক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগবিহীন মাঠের বড় দল বিএনপি এ ইস্যুতে প্রকাশ্যেই বেঁকে বসেছে। তারা চায় পরে সংস্কার আগে নির্বাচন। কিন্তু জামায়াত, চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, নূরুল হক নূরুর গণ অধিকার পরিষদ এবং সর্বশেষ গঠিত এনসিপিসহ আরো বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল চায় আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। একই সঙ্গে সম্প্রতি এসব দলগুলো পিআর (সংখ্যানুপাতিক হারে) নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে ঐকমত্য কমিশনে প্রস্তাব দিয়েছে।

কিন্ত বিএনপিসহ অপর কয়েকটি ছোট দল এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা এ পদ্ধতিকে অগণতান্ত্রিক বলে মানতে চায় না। তাই জামায়াত এমন এক সময়ে এ সমাবেশ করছে যখন সরকার এ বিষয়টি নিয়ে দোটনায় রয়েছে। দলটির টার্গেট বিশাল সমাবেশ থেকে সরকার ও বিএনপিসহ অপর বিরোধী দলগুলোকে একটি বার্তা দেওয়া যে এ দাবির প্রতি কি পরিমান মানুষের সমর্থন রয়েছে।

জামায়াতের আরেকটি সূত্র জানায়, ঐকমত্য কমিশনে সংস্কারের পর নির্বাচন, পিআর পদ্ধতি চালুসহ আরো কয়েকটি ব্যাপারে বিএনপির সাথে তাদের দুরুত্বের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে জামায়াতের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি ও মাস্তানির জন্য বিএনপিকে জড়িয়ে দোষারোপ করছে বলে অভিযোগ করছে দলটির অনেক নেতা। এ নিয়েও বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে দ্বৈরত চলছে। ইস্যুটি এমন পর্যায়ে ঠেকেছে যে প্রকাশ্যেই একে অপরকে দুষে বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছেন নেতারা।

দুই দলের এই অবস্থায় বৃহৎ রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রসঙ্গ যখন আলোচনার টেবিলে তখনই এ নিয়েও শুরু হয় বাকযুদ্ধ। বিশেষ করে সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'প্রয়ােজনে এনসিপির সাথে জােট হতে পারে কিন্তু জামায়াতের সাথে নয়। তার এমন বক্তব্যে যেন আগুনে ঘি ঢালে। এ নিয়ে দুই দলের ভেতরেও শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা। জামায়াতও বিএনপির চলমান কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে সমালোচনার জবাব দিতে কম যাননি। জামায়াতের এমন বক্তব্যে দুই দিন আগে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ইস্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষােভ মিছিলের আয়োজন করে। বিএনপি এবং যুবদলের নেতারা জামায়াতকে জড়িয়ে যে ভাষায় বক্তব্য ও স্লোগান দিয়েছে, ক্ষেত্র বিশেষে তা পতিত আওয়ামী লীগকেও ছাড়িয়ে গেছে। এটা কোনাে রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। বিশেষ করে একজন চিহৃিত চাঁদাবাজ নেতার স্লােগান পতিত স্বৈরাচার বাহিনীকেও হার মানিয়েছে। এ নিয়েও রাজনীতির মাঠে বেশ আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। তাই বিএনপির এমন বিরোধিতার সমুচিত জবাব দিতেই ঢাকায় বড় সমাবেশ আয়োজনও একটি কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়া পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার  কথিত মানবতা বিরোধী অপরাধে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুদন্ড প্রদান করে দলটি নিষিদ্ধও করে। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হলেও ঢাকায় এতবড় সমাবেশ করেনি দলটি। বলা হচ্ছে সেই ক্ষত কাটিয়ে তুলতে রাজনীতির ময়দানে নিজেদের শক্তি-সামর্থ্য এবং অবস্থানের জানান দিতেই আজকের এ সমাবেশ বলে রাজনৈতিক সচেতন মহলের ধারণা। 

জানতে চাইলে জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বাংলাকন্ঠকে বলেন, এই সমাবেশ থেকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানানো হবে। তিনি বলেন, শনিবারের জাতীয় সমাবেশে অন্তত ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে। আর এ সমাবেশকে কেন্দ্র করেই ‘ইতিহাস রচনার’ প্রত্যয় ঘোষণা করেছে জামায়াত।

এছাড়াও সমাবেশ থেকে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরবে জামায়াত। দাবিগুলো হলো-

১. ২০২৪ সালের ৫ আগস্টসহ পূর্ববর্তী গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করা।
২. রাষ্ট্রের সর্বস্তরে মৌলিক সংস্কার আনা।
৩. ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন।
৪. জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পুনর্বাসন।
৫. পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন।
৬. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। এবং
৭. রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সমান সুযোগ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।

দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আল্লাহর ওপর ভরসা করেই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান শেষ করতে চাই। রাজধানীবাসীর কাছে আগাম দুঃখপ্রকাশ করছি, যানজট হলে কষ্ট হবে—কিন্তু আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি যেন ভোগান্তি কম হয়। গতকালও সংবাদ সম্মেলনে আমরা ক্ষমা চেয়েছি, আজও সেই অনুরোধ করছি।
 
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর ২টায় সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ সমাবেশে ১০ লাখের বেশি মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় দলটি। 
সমাবেশ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছ দলটি। ব্যানার, ফেস্টুন, নিয়মিত মিছিল, সমাবেশ, লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করছে দলটি। সরেজমিনে রাজধানীর শাহবাগ, মিরপুর, বাড্ডা, মহাখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।

অন্য দলের নেতাদেরও আমন্ত্রণ:

জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন, এই সমাবেশে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ আরও কয়েকটি দল। সমাবেশে বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কি না- সে বিষয়ে নিশ্চিত করেননি জামায়াতের নেতারা। তবে বিএনপি নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে কেউ কেউ জানিয়েছেন।
দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে প্রায় ১৫০০ বাস, চট্টগ্রাম-ঢাকা ও রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিশেষ ট্রেন এবং নৌপথে লঞ্চ রিজার্ভেশন দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাসায় থেকেও সমাবেশে অংশ নেবেন।

জনসমাগম প্রঙ্গগে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসান মাহবুব জোবায়ের বলেন, আমরা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জনসমাগম আশা করছি। এরই মধ্যে ১০ হাজারের বেশি বাস, একাধিক স্পেশাল ট্রেন এবং নৌযান রিজার্ভ করা হয়েছে।

দলটি থেকে জানানো হয়, মাঠে মোতায়েন থাকবে প্রায় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, থাকবে বিশেষ পোশাক, ডিউটি কার্ড ও দায়িত্বভাগ। ঢাকা মহানগর ও আশপাশের জেলা থেকে আগতদের জন্য ১৫টি পার্কিং স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে ও বাইরে থাকবে ১৫টি মেডিকেল বুথ, প্রতিটিতে এমবিবিএস ডাক্তার, জরুরি ওষুধ এবং অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা থাকবে।

সমাবেশের সম্পূর্ণ কার্যক্রম ড্রোন ও আধুনিক ক্যামেরা দিয়ে ধারণ করা হবে। ফেসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার করা হবে, মাঠে থাকবে বড় আকারের এলইডি স্ক্রিন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সঙ্গে বৈঠকে ট্রাফিক, নিরাপত্তা ও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে সমন্বয় করা হয়েছে।

সবমিলিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন জনসমুদ্রের অপেক্ষায়। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে দলে দলে আসতে শুরু করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। মাঠের চারপাশে টানানো হয়েছে ব্যানার–ফেস্টুন, মঞ্চের সামনে সাজানো সারি সারি চেয়ার, টয়লেট, পানির কল, জায়ান্ট স্ক্রিন—সবই প্রস্তুত।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিকে ঘিরে সমাবেশস্থলে পুরো বিকেল ছিল কর্মব্যস্ততায় মুখর। দীর্ঘদিন পর রাজধানীতে এমন রাজনৈতিক সমাবেশের আয়োজনকে ঘিরে দলটির নেতাকর্মী, স্বেচ্ছাসেবক এবং প্রশাসনিক সমন্বয়কারীদের মধ্যে চোখে পড়ার মতো তৎপরতা দেখা গেছে। ভ্যাপসা গরমের মধ্যে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক বালু ছিটানো, চেয়ার বসানো, টয়লেট ও পানির কল স্থাপন, জায়ান্ট স্ক্রিনের তার সংযোগসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠজুড়ে পানি অপসারণের জন্য ফেলা হয়েছে বালু ও কংক্রিট, ছিটানো হয়েছে ব্লিচিং পাউডার।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। প্রায় এক মাস ধরেই আমরা মনিটরিং করছি। আবহাওয়া কিছুটা দুর্যোগপূর্ণ হওয়ায় মাঝে মধ্যেই পানি নিষ্কাশন, ইট ফেলা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রচুর শ্রম দিতে হয়েছে।

তৈরি করা হয়েছে ৫ শতাধিক অস্থায়ী টয়লেট

দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমাবেশে অংশ নিতে ঢাকা ও এর বাইরের জেলা থেকে কয়েক লাখ মানুষ আসবেন। তাই সমাবেশস্থল ও আশপাশের এলাকাজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। উদ্যানের বিভিন্ন প্রান্তে বসানো হয়েছে ৫০০ এর বেশি অস্থায়ী টয়লেট এবং অজুর জন্য এক হাজার পানির কল।

জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন, মঞ্চের দুই পাশে থাকছে দুটি বড় জায়ান্ট স্ক্রিন এবং সমাবেশের আশেপাশে গুরুত্বপূর্ণ ৫০টিরও বেশি পয়েন্টে বসানো হয়েছে এলইডি স্ক্রিন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাজুড়ে ৪০০টির বেশি মাইক বসানো হয়েছে। অতিথি ও নেতাদের বসার জন্য মঞ্চের সামনের দুই পাশে রাখা হয়েছে ৬০০ চেয়ার।

মাঠের ভেতরে ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে স্থাপন করা হয়েছে একাধিক মনিটরিং সেল। দলে ৬ হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবক আটটি বিভাগের আওতায় কাজ করবেন বলে জানানো হয়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছে জামায়াত নেতারা। ঢাকার বাইরের বাসগুলোর ড্রপিং পয়েন্ট নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশনা তৈরি হয়েছে।


মন্তব্য