মিডিয়া হাউজ আস্থা হারিয়ে ফেললে তা সোসাইটির জন্য হুমকিস্বরূপ

বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক অপতথ্যের গতি-প্রকৃতি শীর্ষক  সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, মিডিয়া হাউজ যদি আস্থা হারিয়ে ফেলে তাহলে সেটা পুরো সোসাইটির জন্য হুমকিস্বরূপ। ৫ আগস্টের পরে বিভিন্ন মিডিয়া আমাদের দেশে সরব। আমাদের মিডিয়া হাউজগুলো মনে করে ফ্যাক্টচেক এর পেছনে টাকা খরচ অতিরিক্ত, যেটা তারা চান না। আজকে বাংলাদেশের কোনো পত্রিকারই এই ইনভেস্টমেন্ট নেই। যার কারণে মূলধারার মিডিয়াো অপতথ্য ছড়াচ্ছে।

শনিবার সকালে রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এর সেমিনার কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব। পিআইবি-র মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সভাপতিত্বে সভায় গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেছেন আইসিটি বিভাগের ইবিএলআইসিটি প্রকল্পের পরামর্শক ড. মামুন-উর-রশীদ।

প্রধান অতিথি বলেন, আমাদের মিডিয়া হাউজগুলো মনে করে ফ্যাক্টচেক এর পেছনে টাকা খরচ অতিরিক্ত, যেটা তারা চান না। আজকে বাংলাদেশের কোনো পত্রিকারই এই ইনভেস্টমেন্ট নেই। ফেইক ভিডিও, স্ক্রিপটেড ভিডিও সব কিছুই ছড়ায়, ছড়াবেও কিন্তু আমাদের পত্রিকাগুলো এ ধরনের কাজগুলো রুখে দিতে চায় কি না, পেইড টুলসগুলো কিনে প্রতিটাই রুখে দিতে পারে কি না তা দেখতে হবে।

ড. মামুন-উর-রশীদ তার গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করে বলেন যে,আর বাংলাদেশে মিস ইনফরমেশন শেয়ার করার একটি বড় মাধ্যম ফটোকার্ড । তিনি বলেন,  মিডিয়া হাউজ যদি আস্থা হারিয়ে ফেলে তাহলে সেটা পুরো সোসাইটির জন্য হুমকিস্বরূপ। ৫ আগস্টের পরে বিভিন্ন হাউজের সংবাদ প্রকাশের ডেটাসহ বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলের অপতথ্য ছড়ানোর হার নিয়ে তিনি বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করেন।মেইনস্ট্রিম মিডিয়া আমাদের দেশে সরব। 
  
 ফারুক ওয়াসিফ বলেন,  মূলধারার গণমাধ্যম এখনও সত্য প্রকাশে দ্বিধান্বিত। মূলধারার গণমাধ্যমে কী ধরনের অপতথ্য ছড়ানো হয় এবং তা কীভাবে রুখে দেওয়া যায় সেটা নিয়ে কাজ হওয়া দরকার। অপতথ্যকে বা গুজবকে শুধুমাত্র ফ্যাক্টচেক দিয়ে রুখে দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা গত ১৫ বছর পেশাগতভাবে হুমকিতে ছিলেন। তারা রাজনৈতিকভাবে কোনো অবস্থান নিতে পারেন না।