আদানির বকেয়া নিয়ে স্বস্তি

আদানি

ভারতের আদানি পাওয়ার থেকে আমদানিকৃত বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। জুন মাসে প্রতিষ্ঠানটিকে এককালীন ৪৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ একক পরিশোধ হিসেবে বিবেচিত।

ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি, বহন খরচসহ সংশ্লিষ্ট সব বকেয়া সম্পূর্ণভাবে পরিশোধ করা হয়েছে।

নয়াদিল্লির সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআই লিখেছে, এর মধ্য দিয়ে আগের বকেয়া, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যয় এবং বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয়ের মীমাংসা হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশের আর কোনো বকেয়া নেই, বরং দুই মাসের বিলের সমপরিমাণ এলসি (ঋণপত্র) এবং সব বকেয়ার জন্য সার্বভৌম গ্যারান্টিও বাংলাদেশ দিয়ে রেখেছে।

পাওনা সংক্রান্ত ঝামেলা না থাকায় আদানি পাওয়ারকে তাদের ঝাড়খণ্ড কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকেই নির্ধারিত হারে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।

ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, গত তিন-চার মাস ধরে ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার করে পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ।

আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর চুক্তি করে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগ। ২৫ বছর মেয়াদি ওই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিতে ভারতের ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় ২০০ কোটি ডলার ব্যয়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে আদানি পাওয়ার।