
ঋণখেলাপী থেকে মুক্তি পেতে শিল্প মালিকদের যে প্রস্তাব
- ০৩ জুলাই ২০২৫, ১০:১২

ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা ছয় মাসে উন্নীত করার আহ্বান জানিয়েছেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা। তাদের মতে, এই সময়সীমা বাড়ানো হলে ৫০০ থেকে ৬০০ পোশাক কারখানা ঋণ খেলাপি হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। একইসঙ্গে রপ্তানির বিপরীতে আদায় করা এক শতাংশ উৎসে করকে বছর শেষে চূড়ান্ত কর হিসেবে গণ্য করার সুপারিশও করেন তারা।
বুধবার (০২ জুলাই) আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজিএমইএ’র একটি প্রতিনিধি দল। সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন সহসভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, সহসভাপতি শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী এবং সদস্য কামাল উদ্দিন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বিজিএমইএ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো যেমন ব্যাংক ও এনবিআর সংক্রান্ত বিষয়, শিল্পে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য করণীয়, চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা উন্নয়ন, ট্রেড লাইসেন্স, আইআরসি-ইআরসি নবায়ন জটিলতা এবং ইতিপূর্বে রাজউক এলাকায় নির্মিত কারখানাগুলোর হয়রানি শিকার হওয়ার কথা বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, “ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা ৯ মাস থেকে কমিয়ে ৩ মাস করা হয়েছে। অনেক সময় আর্থিক কারণে উদ্যোক্তা এই সময়ের মধ্যে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারেন না। ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা ৬ মাসে উন্নীত করা প্রয়োজন। এটি করা হলে ৫০০-৬০০ পোশাক কারখানা খেলাপি হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিশেষ নগদ সহায়তা ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৩০ শতাংশ এবং বিকল্প নগদ সহায়তা ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে এক দশমিক শতাংশ করা হয়েছে। নগদ সহায়তা হার ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা পোশাক শিল্পের জন্য সহায়ক ও সময়োপযোগী নয়।”
এ সময় শিল্প ও দেশের স্বার্থে নগদ সহায়তা বিষয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানান তিনি। একইসঙ্গে রপ্তানির বিপরীতে আদায়কৃত এক শতাংশ উৎসে করকে বছর শেষে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে নিষ্পত্তির সুপারিশ করেন তিনি।
বৈঠকে বিজিএমইএ নেতারা বলেন, গাজীপুর ও আশুলিয়ায় পোশাক অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সরকার জমি বরাদ্দ দিলে পোশাক উদ্যোক্তারা ওইসব জমিতে শ্রমিকদের জন্য পর্যায়ক্রমে হাসপাতাল, আবাসন, স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী। মুন্সীগঞ্জে বন্ধ হয়ে যাওয়া গার্মেন্ট পল্লী স্থাপন কার্যক্রম পুনরায় শুরু এবং চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলোর জন্য একটি সমন্বিত শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে জমি বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।