
আরও দুই শিল্পে ট্রাম্পের থাবার হাতছানি!
- ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৪
-10940.jpg)
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্কারোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। থাবা বসিয়েছেন একাধিক শিল্পে। এবার তামা আমদানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে ওষুধ শিল্পখাতে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানোর বিষয়েও ভাবছে দেশটি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা জানান বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা সমস্ত তামার ওপর নতুন ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করছেন। তবে, নতুন শুল্ক কখন কার্যকর হবে তা স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা তামার ওপর শুল্ক আরোপ করছি। আমি বিশ্বাস করি, এই হার ৫০ শতাংশ হবে।’
সিএনএন বলছে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে আরোপিত চতুর্থ সর্বোচ্চ শুল্ক হবে এই তামার ওপর শুল্ক। বর্তমানে দেশটিতে বেশিরভাগ আমদানি করা গাড়ি এবং গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম উভয়ের আমদানিতেই ৫০ শতাংশ শুল্কের সম্মুখীন হতে হয়।
কখন তামা আমদানিতে শুল্ক আরোপ করা হতে পারে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি হোয়াইট হাউস।
ইলেকট্রনিক্স শিল্প, যন্ত্রপাতি এবং গাড়িসহহ বিভিন্ন পণ্যের জন্য তামা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তামার ওপর শুল্ক আরোপ আমেরিকানদের কাছে এই পণ্যগুলোকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলতে পারে।
মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের তথ্য অনুসারে, গত বছর আমেরিকা ১৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তামা আমদানি করেছে। চিলি ছিল এই ধাতুর বৃহত্তম বিদেশি সরবরাহকারী। গত বছর দেশটি ৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তামা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিল।
এদিকে ট্রাম্প মঙ্গলবার আরও জানান, খুব শিগগিরই ওষুধের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। তবে আরও কোম্পানিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে, এটি আপাতত কার্যকর না–ও হতে পারে।
সিএনএন বলছে, প্রথম মেয়াদে ওষুধের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ছাড়া দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে এবার বেশ কয়েক মাস ধরে ওষুধ পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের কথা বলে আসছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যুক্তি হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও বেশি দেশীয় ওষুধ উৎপাদন প্রয়োজন; যাতে ওষুধের জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভর করতে না হয়।