
নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সুখবর দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ১০ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৪
-11033.jpg)
বাংলাদেশের নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য বড় সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ২১ বছর বা তার বেশি বয়সী যে কেউ নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাইলে সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ নিতে পারবেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি মাস্টার সার্কুলার জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, নতুন এই নীতিমালা দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। এর মাধ্যমে উদ্ভাবনী উদ্যোগ বৃদ্ধি পাবে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথ সুগম হবে। পাশাপাশি, এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, নতুন উদ্যোক্তাদের বড় ধরনের সুযোগ তৈরির এই ঋণের সুদের হার হবে মাত্র ৪ শতাংশ। এ ছাড়া, ব্যাংকগুলো এখন শুধু ঋণ নয়, চাইলে বিনিয়োগও করতে পারবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি গঠন করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনার ফলে এখন নতুন উদ্যোক্তাদের ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত দেশে স্টার্টআপ সংস্কৃতি আরও জোরদার করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব স্টার্টআপ তহবিল থেকে এখন শুধু ইক্যুইটি বা অংশীদার ভিত্তিতে বিনিয়োগ করতে পারবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার তহবিল থেকে দেওয়া যাবে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ। তবে এই তহবিল ছাড়া অন্য কোনো উৎস থেকে নতুন করে ঋণ বা বিনিয়োগ করা যাবে না। আগে যেসব ঋণ বা বিনিয়োগ অনুমোদন হয়েছে, সেগুলোর অর্থ ছাড় দেওয়া যাবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, নতুন নিয়মে ঋণের পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। আগে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা দেওয়া হতো, এখন ধাপে ধাপে ২ কোটি থেকে ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত দেওয়া যাবে। অর্থায়নের জন্য উদ্যোক্তার বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে। তবে সর্বোচ্চ বয়সের কোনো সীমা নেই। যেসব স্টার্টআপ ইতোমধ্যেই চালু আছে, সেগুলোও এই সুবিধা পাবে। তবে কোম্পানির বয়স ১২ বছরের বেশি হলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না।
তবে ব্যাংকগুলো নিজেরা যে পুরোনো স্টার্টআপ তহবিল তৈরি করেছিল, তা থেকে এখন নতুন করে ঋণ দেওয়া যাবে না। আগে যে ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে, সেগুলোর অর্থ বিতরণ চালিয়ে যাওয়া যাবে। এতদিন ব্যাংকগুলো কেবল পুরোনো বা চলমান ব্যবসাকে ঋণ দিত। নতুন উদ্যোক্তারা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন, কারণ ব্যাংকারদের মনে হতো নতুন ব্যবসার ঝুঁকি বেশি। তবে এখন সেই ধারণা বদলেছে।