
১১ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে যা জানা গেল
- ১৪ জুলাই ২০২৫, ১০:৫২

দেশে রেমিট্যান্স আয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং আমদানি ব্যয়ের তুলনায় রপ্তানি খাতের ইতিবাচক পারফরম্যান্সের ফলে বিদায়ী ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) পেমেন্ট ব্যালান্সের গুরুত্বপূর্ণ সূচক ‘চলতি হিসাবের ঘাটতি’ কমেছে ৫ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩–২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪–২৫ অর্থবছরের একই সময়ে নেমে এসেছে মাত্র ৪৩২ মিলিয়ন ডলারে।
এ ছাড়া মে মাসে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে চলতি হিসাবের ঘাটতি প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে এ ঘাটতি ছিল ১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার।
চলতি হিসাব বা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স হিসাব করার সময় আমদানি-রপ্তানির পাশাপাশি প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি নেট ইনকামকেও যুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে রেমিট্যান্স আয় আগের বছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ২৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে হয়েছে। এক বছর আগে এই আয়ের পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার—অর্থাৎ এই খাতে প্রবাহ বেড়েছে ৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জুলাই-মে সময়ে রপ্তানি আয় বাড়ার কারণে আমদানি ও রপ্তানির ব্যবধান তথা বাণিজ্য ঘাটতি সামান্য কমেছে।
জুলাই-মে সময়ে এই ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় (২০ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার) ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ কম।
উল্লেখিত ১১ মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ, আর আমদানি বেড়েছে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
দেশের সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতি ও চলতি হিসাবের ঘাটতি উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও, চলতি বছরের মে মাসে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টে উদ্বৃত্ত এক মাসে কমেছে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত সময়ে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ২৬৬ মিলিয়ন ডলার। অথচ তার আগের মাস অর্থাৎ এপ্রিল পর্যন্ত এই উদ্বৃত্ত ছিল ১ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার।