
ঢাবিতে ড্রোন শো: নারীদের অবদানের স্বীকৃতি
- ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৩:০০

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নারীদের অবদান স্মরণে একটি বিশেষ ড্রোন শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে জ, যেখানে সে সময়ের নানা ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হয়।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাত ১২টার দিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
ড্রোন শোর মাধ্যমে অভ্যুত্থানকালীন নারীদের বিভিন্ন পর্যায়ের আন্দোলনের চিত্র, প্রতীকী দৃশ্য ও ঐ সময় ছড়িয়ে পড়া উক্তি ও ছবি তুলে ধরা হয়।
বিশেষ করে শেখ হাসিনার বিদ্রূপাত্মক কথা— ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে?’ এ ছাড়া ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, মাতৃভূমি অথবা মৃত্যুসহ একাধিক বাক্য এই শো’তে দেখানো হয়।
এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে প্রথম শহীদ আবু সাঈদ, বুয়েটে ছাত্রলীগের নির্যাতনে শহীদ আবরার ফাহাদ এবং ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত তন্বীর প্রতিকৃতি দেখানো হয়।
পাশাপাশি বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ডসহ একাধিক প্রতিচ্ছবিও এই শো’তে তুলে ধরা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, এই শো-এর উদ্দেশ্য ছিল ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে সাহসী নারীদের ভূমিকা স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানো। ওই বছর ১৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভেঙে প্রথম বিক্ষোভের ঝাণ্ডা তুলে ধরেন। যেখান থেকে শুরু হয়েছিল একটি ইতিহাস গঠনের অধ্যায়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিতর্কিত ‘রাজাকারের নাতি-পুতি’ মন্তব্যের এক বছর পূর্তিতে প্রতীকী মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে টিএসসি এলাকায় জড়ো হন এবং প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।
মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা তুমি কে, আমি কে, রাজাকার, রাজাকার, কোটা না মেধা, মেধা মেধাসহ নানা স্লোগান দেয়।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই (সোমবার) সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছাত্রলীগের এই হামলায় সারাদেশে চার শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আহত হন ২৯৭ জন শিক্ষার্থী। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এদিন হাসপাতালে গিয়েও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
আগের দিন ১৪ জুলাই বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলে কটুক্তি করেন। এ কটুক্তির প্রতিবাদে রাতে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। রাত ১১টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হলসহ প্রায় প্রতিটি আবাসিক হল থেকে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে মিছিল নিয়ে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন শত শত শিক্ষার্থী।