
বদলে গেছে সোনা পাচারের রুট
- ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৯:২৭

বিদেশ থেকে অবৈধ পথে সোনা পাচারের রুট পরিবর্তন করেছে পাচারকারীরা। দুবাই ও মালয়শিয়া রুটের পরিবর্তে এখন তারা সৌদি আরবের দুই বিমান বন্দরকে বেচে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা ঢাকা কাস্টম হাউজ।
ঢাকা কাস্টম হাউজের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেন জানান, স্বর্ণ পাচারের নতুন রুট হিসেবে সৌদি আরবের মদিনা ও জেদ্দাকে নতুনভাবে ব্যবহার শুরু করেছে জড়িত চক্র।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সম্প্রতি এ ঘটনায় একজন হাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মুহম্মদ জাকির হোসেন জানান, গত অর্থবছরে প্রায় ২০৫ কোটি টাকা মূল্যের ১৭০ কেজি স্বর্ণ আর ২৩৪ কোটি টাকার পণ্য জব্দ করা হয়েছে।
সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে ঘাস কাটার যন্ত্র আনেন এক প্রবাসী। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলে সন্দেহ হয় কাস্টমস প্রিভেন্টিভ টিমের।
এরপর ওই প্রবাসীর সামনেই ভাঙা হয় মেশিনটিকে। পাওয়া যায় দেড় কেজি স্বর্ণ। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা।
কাপড়ে আটা দিয়ে লাগিয়ে আমিরাত থেকে স্বর্ণের গুড়া আনেন আরেক যাত্রী। পরে তাকে আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
প্রতিদিন ১০০ গ্রাম করে প্রায় ৪০ কেজি স্বর্ণ বৈধভাবে ঢোকে বাংলাদেশে। এর বাইরে নানা কৌশলে স্বর্ণের তসবিহসহ অবৈধভাবে দেশে আনা হচ্ছে নানান ধরনের পণ্য।
ঢাকা কাস্টম হাউজের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ‘তারা কাপড়ে করে নিয়ে আসে। প্রথমে এটাকে লিক্যুইড করে কাপড়ের এক লেয়ারে দেয়, আরেকটা লেয়ার ওপরে রাখে। এতে ভেতরে থাকা গোল্ড আর দেখা যায় না। পরে এটা দিয়ে জামা বানায়। সব যাত্রীকে তো আর বডি স্ক্যান করা হয় না।’
সমস্যা সংকটে পাচারকারীদের চিহ্নিত করে তাদের ছবি দুবাই ও মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে দেওয়ায় সংকট কমছে কিছুটা।
মুহম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ‘২৩৪ কোটি টাকার পণ্য আটক করেছি ১ বছরে। গত জুন থেকে এই জুন পর্যন্ত। এটা ধীরে ধীরে কমে আসছে। যেমন আমরা গত বছরের নভেম্বর আটক করেছিলাম ৩৫ কোটি, সেটা কমতে কমতে গত জুনে এসেছে ১ কোটি।’
এছাড়া অল্প সময়ের মধ্যে বারবার ভ্রমণকারীদেরও রাখা হয়েছে নজরদারিতে। বসানো হচ্ছে এআই বেসড ক্যামেরা ও স্ক্যানার। এছাড়া পাচারের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে তিন কাস্টমস কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।