এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় এবি পার্টির নিন্দা

এবি পার্টি। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দফায় দফায় হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।

বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এক বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।  

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচার গত বছরের ৫ আগস্ট পলায়ন করতে বাধ্য হয়। আজ আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীরা এনসিপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে দফায়-দফায় হামলা করল। এখনো রক্তের দাগ শুকায়নি, বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি, এরই মধ্যে এনসিপি নেতাদের উপর হামলা খুবই উদ্বেগজনক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ, তারা সন্ত্রাসী হামলা বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।

তারা বলেন, এনসিপির কর্মসূচির ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, ইউএনওসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ সদস্যদের আহত করার বর্বর ঘটনা সেই পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রের আভাস। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে আওয়ামী দোসররা ইন্টেরিম গভর্নমেন্টকে বেকায়দায় ফেলে ফায়দা লুটতে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য এখন মরণকামড় দিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। 

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘এসব দুস্কৃতিকারীদের কঠোর হস্তে দমন ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। দেশে যাতে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে না পারে, সেজন্য দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দল, মত নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যেকোনো মূল্যে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।’

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পতিত স্বৈরাচারের দোসর সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এবং গোপালগঞ্জে আহত এনসিপি নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

বুধবার দুপুরের পর থেকে দুই দফায় গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তাদের উপরও হামলা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় এনসিপির ও পুলিশ সদস্যদের ব্যবহৃত গাড়ি।

এ ঘটনায় এর আগে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

এদিকে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জ শহরে কারফিউ জারি করেছেন সরকার। এছাড়া চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীও।