গোপালগঞ্জে কারফিউ ও ১৪৪ ধারা নিয়ে সর্বশেষ যে সিদ্ধান্ত

কারফিউ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির পর জারি করা কারফিউ ও ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত ৮টার পর গোপালগঞ্জ জেলায় ১৪৪ ধারা ও কারফিউ বলবৎ থাকবে না। সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে। এছাড়া অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত  বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের মধ্যে চারজন নিহত এবং অন্তত নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় আরও একজন। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরে ওইদিন প্রথমে ১৪৪ ধারা এবং পরে রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়।

এরপর দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১১টা পর্যন্ত কারফিউর সময়সীমা বাড়ানো হয়। মাঝে  তিন ঘণ্টা বিরতি দিয়ে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। 

পরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউর সময় বাড়ানো হয়। শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়। তবে রাত ৮ থেকে রোববার (২০ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত আবারও কারফিউর সময় বাড়ানো হয়।

এদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন গোপালগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান।