
২ দিনের যুদ্ধবিরতি; ১২০০ বন্দি বিনিময়ে সম্মত
- ২৪ জুলাই ২০২৫, ১৩:৪৪

অবশেষে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। দুই দেশই ১ হাজার ২০০ জন করে মোট ২ হাজার ৪০০ জন বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। এ উপলক্ষে দুই পক্ষ ২ দিনের যুদ্ধবিরতিতেও সম্মত হয়েছে।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধিদের তৃতীয় দফা বৈঠকে এই ঐকমত্যে পৌঁছায় মস্কো ও কিয়েভ। বৈঠকটি শুরু হয় বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে এবং শেষ হয় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১৬ মিনিটে।
বৈঠকে রুশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাশিয়ার সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী এবং বর্তমানে পুতিনের সহকারী ভ্লাদিমির মেডিনস্কি। বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এ তথ্য।
ব্রিফিংয়ে মেডিনস্কি বলেন, “অপেক্ষারত যুদ্ধবন্দিদের তালিকা তৈরিসহ তাদের মুক্তির ব্যাপারটি সহজতর করতে আমরা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তিনটি করে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি। রাজনীতিবিদ, মানবাধিকারকর্মী এবং সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা থাকবেন এসব গ্রুপে।”
নতুন যে ১ হাজার ২০০ যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে, তাদের মধ্যে সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের পাশাপাশি বেসামরিক লোকজনও থাকছেন বলে জানিয়েছেন মেডিনস্কি। গত বছর নভেম্বরের দিকে ক্রুস্কে যে ৩০ জনকে বন্দি কের নিয়ে গিয়েছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী— তারাও আছেন এই তালিকায়।
ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি সংলাপ শুরু হয়েছে গত মে মাস থেকে। বৈঠকের ১ মাসের মধ্যে, ২ জুন প্রথমবারের মতো যুদ্ধে নিহত সেনাদের মরদেহ এবং জীবিত যুদ্ধবন্দিদের বিনিময়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় মস্কো ও কিয়েভ। সেবার ৬ হাজার করে মোট ১২ হাজার সেনার মরদেহ এবং ১ হাজার করে মোট ২ হাজার জীবিত যুদ্ধবন্দি বিনিময় হয়েছিল রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে।
বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে ভ্লাদিমির মেডিনস্কি জানান, এ পর্যন্ত ইউক্রেনীয় বাহিনীর ৭ হাজার সেনার মরদেহ কিয়েভকে ফিরিয়ে দিয়েছে মস্কো এবং শিগগিরই আরও ৩ হাজার মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। নতুন ৩ হাজার সেনার মরদেহের বিনিময়ে ইউক্রেনও রুশ সেনাদের মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তবে সংখ্যা এখনও জানায় নি।
“যুদ্ধবিরতি এবং সেনাদের মরদেহ বিনিময়ের জন্য আমরা দুই দিনের স্বল্পমেয়াদী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছি। কিয়েভ তাতে সম্মত হয়েছে। বন্দি বিনিময়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে এই যুদ্ধবিরতি শুর হবে”, সংবাদিকদের বলেন মেডিনস্কি।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি