খুব শিগগির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

নির্বাচন

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে রাজনৈতিক দলগুলোকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস—এমনটি জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার।

শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৈঠকে ১৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট অংশ নেয়।

বৈঠক শেষে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আগামী কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শক্তিকে আর ফিরে আসতে দেওয়া হবে না।’

বৈঠকে দেশের অস্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন তারিখ ও জুলাই সনদ ঘোষণা শীঘ্রই হবে। সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে যে কোনো বিশৃঙ্খলা কঠোর হাতে দমন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’ 

এ সময় বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ। দেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কোনো প্রয়োজন নেই।’

ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘সরকারের মধ্যে আরেকটি সরকার রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে নির্বাচন সম্ভব হবে না। কোনো দলকে নিষিদ্ধ করলেই সকল সমস্যা সমাধান হবে না। এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর হতে হবে।’ 

বৈঠকে আরও অংশ নেন জাতীয় গণফ্রন্টের  আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, নেজামে ইসলাম পার্টির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ জাসদের ড. মুশতাক হোসেন, জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, বাসদ- মার্কসবাদীর মাসুদ রানা এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মন্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।