
মালয়েশিয়ার রাস্তায় কেন হাজার হাজার মানুষ?
- ২৬ জুলাই ২০২৫, ২১:০৬
-12622.jpg)
জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সরকারের প্রতিশ্রুত সংস্কার বাস্তবায়নে ব্যর্থতার প্রতিবাদে শনিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছেন হাজারো মানুষ।
বিরোধী দলগুলোর ডাকে আয়োজিত এই জনসমাবেশ ছিল ২০২২ সালে আনোয়ার ইব্রাহিম ক্ষমতায় আসার পর প্রথম উল্লেখযোগ্য গণবিক্ষোভ।
বিক্ষোভকারীরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে এসে সমবেত হন ঐতিহাসিক ইন্ডিপেনডেন্স স্কয়ারে। তাদের হাতে ছিল নানা প্রতিবাদী বার্তাসংবলিত প্ল্যাকার্ড। বিক্ষোভ ঘিরে সেখানে মোতায়েন ছিল বিপুলসংখ্যক পুলিশ।
৩৫ বছর বয়সি বিক্ষোভকারী ফাউজি মাহমুদ বলেন, আনোয়ার তিন বছর ধরে দেশ চালাচ্ছেন, কিন্তু তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি।
তিনি বলেন, তিনি অনেক দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন—রাশিয়া, ইউরোপসহ নানা দেশে বিনিয়োগ আনতে গেছেন, কিন্তু আমরা তার কোনো সুফল এখনো দেখিনি। দ্রব্যমূল্য এখনো আকাশচুম্বী।
আল জাজিরার কুয়ালালামপুর প্রতিনিধি রব ম্যাকব্রাইড বলেন, বিক্ষোভকারীরা মনে করেন, আনোয়ার তার প্রতিশ্রুত সংস্কার ও স্বচ্ছতা আদৌ বাস্তবায়ন করেননি। এটি গত কয়েক বছরে কুয়ালালামপুরে দেখা সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলোর একটি।
আনোয়ার ইব্রাহিম দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও গোষ্ঠীপ্রীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং রাজনৈতিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ—তিনি কেবল আশ্বাসই দিয়ে যাচ্ছেন, বাস্তবে কিছুই করছেন না।
বিক্ষোভের ঠিক আগেই আনোয়ার সরকার জনঅসন্তোষ প্রশমনে কিছু পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে রয়েছে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে এককালীন ১০০ রিঙ্গিত অনুদান দেওয়া এবং জ্বালানির দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি।
সরকার জানিয়েছে, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব মালয়েশিয়ান নাগরিক ৩১ আগস্ট থেকে এ অর্থ পাবেন। এছাড়া প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ চালক এখন থেকে ১.৯৯ রিঙ্গিত দরে মধ্যমানের অকটেনযুক্ত জ্বালানি কিনতে পারবেন, যা বর্তমান ২.০৫ রিঙ্গিত দামের চেয়ে কম।
তবে এসব উদ্যোগ বিক্ষোভকারীদের থামাতে পারেনি। তাদের দাবি, কেবল স্বল্পমেয়াদি আর্থিক অনুদানে পরিবর্তন আসবে না—আনোয়ার সরকারকে বাস্তব সংস্কার দেখাতে হবে, নয়তো তাকে বিদায় নিতে হবে।
সূত্র: আল-জাজিরা