সেনাপ্রধানকে নিয়ে ইলিয়াসের বিস্ফোরক স্ট্যাটাস

সেনাপ্রধান

এমনিতেই বর্তমান সেনাপ্রধানকে নিয়ে প্রায়ই টুকটাক মন্তব্য করেন আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। কিন্তু এবার এমন এক বিস্ফােরক স্ট্যাটাস দিয়েছেন যা নিয়ে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছেন ইলিয়াস। বিশেষ করে নেটিজেনদের পাশাপাশি দেশ-বিদেশেও এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। তবে সেনাপ্রধানকে নিয়ে দেওয়া ইলিয়াসের স্ট্যাটাসকে বেশিবরভাগ মানুষই সত্য ও সাহসী উচ্ছারণ বলে মন্তব্য করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। 

ইলিয়াস হোসেন তার ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেইজে দেওয়া স্ট্যাটাসে বলেছেন, সেনাপ্রধান ওয়াকার মূলত অভ্যুত্থানের পক্ষে ছিল না। ১ দফা ঘোষণার পর সে হাসিনাকে সেইভ দিতে চাইছিলো, আওয়ামীলীগকে বাঁচাইতে চাইছিলো।
তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

সেনাপ্রধান ওয়াকারকে যারা জুলাই অভ্যুত্থানের ত্রাণ কর্তা মনে করেন, তাদের জন্য—
১. ওয়াকার মূলত অভ্যুত্থানের পক্ষে টক্ষে ছিল না। ১ দফা ঘোষণার পর সে হাসিনাকে সেইভ দিতে চাইছিলো, আওয়ামীলীগকে বাঁচাইতে চাইছিলো। তার কাছে ডিজিএফআই তথ্য তো ছিল, এত রক্তপাতের পর হাসিনাকে আর রাখা যাবে না। লগে ইন্টারন্যাশনাল লবি সব এক্টিভ হয়ে গেছিলো হাসিনার বিরুদ্ধে। 
দেশে সিভিল ওয়ার হইতে পারে, পশ্চিমের স্যাংশন আসতে পারে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে, বিদেশ জুড়ে স্টেপ ডাউন হাসিনা মুভমেন্ট শুরু হইছে, রেমিট্যান্স শাট ডাউন হইছে— আর তো হাসিনার রক্ষা নাই। এই পরিস্থিতিতে সে জুলাইয়ের নয়, বরং হাসিনার ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হয়েছিলো। 

২. ৫ তারিখের আগে সেনাবাহিনীর গুলিতেও কিন্তু মানুষ মরেছে। মাঠের সাধারণ সেনারা অফিসারদের নির্দেশ না মানার স্টেজ পর্যন্ত গেছিলো। অফিসাররা সৈন্য বিদ্রোহকে ভয় পায়। এই ভয়ও ওয়াকারকে হাসিনাকে সেইফ একজিট দিতে বাধ্য করেছে। 

৩. ওয়াকার হাসিনাকে কথা দিয়েছিলো, আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে সেইফ এগজিট দিবে। ওয়াকার অক্ষরে অক্ষরে কথা রেখেছে। এত বছর প্রায় ৭০০-৮০০ আওয়ামী এমপি, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলার নেতাসহ হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকে ওয়াকার পার করে দিয়েছে, গোপন আশ্রয় দিয়েছে৷ হাসিনাকে দেয়া কথা রেখেছে ওয়াকার। 

৪. ইউনুসকে তো সে মানে নাই। তখনো মানে নাই, এখনো মানে না। ইউনুসের নামটাও তো সম্মান দিয়ে উচ্চারণ করে না৷ আসিফ ভাই তো বলেছিলো, তখন ওয়াকার বুকে পাথর চাপা দিয়ে ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা মেনেছিলো। 

৪. তারপর, হাসিনাকে ফেরানোর মঞ্চও প্রস্তুত করতে চাচ্ছে। রিফাইন্ড আওয়ামীলীগের তথ্য হাসিনার বিচারের আগে এনে হাজির করেছে ওয়াকার। একবার হাসনাত আব্দুল্লাহ'র হাতে ধরা খাইছে৷ কয়েকদিন আগে সরাসরি ড. ইউনুসকে দিয়ে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ থিয়েটারে আনার প্রস্তুতি শুরু করেছে। আমি নিশ্চিত, তাজ পরিবারকে ড. ইউনুসের কাছে পাঠানোর কুশীলব এই ওয়াকার। 

সো, ওয়াকার যা করেছে, সবই হাসিনাকে এন্ড আওয়ামী লীগকে বাঁচানোর জন্য করেছে৷ ওরে যারা ত্রাণকর্তা মনে করে এবং এখনো ওর সুনজর পাওয়ার চেষ্টা করবে, তাদের জন্য সতর্কবার্তা। অনেক কিছু হয়তো ওয়াকার দিবে, কিন্তু অনেক কিছু সে নিবে বিনিময়ে।