সাবেক সেনাপ্রধানের মরদেহ উদ্ধার

সেনাপ্রধান

মারা গেছেন সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল এম হারুন উর রশীদ (৭৫)। আজ সোমবার (০৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ক্লাবের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও স্বজনদের ধারণা, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

এম হারুন উর রশীদের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। তবে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন জানান, সাবেক সেনাপ্রধান হারুন রোববার বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে পৌঁছেন। বিকেল ৪টায় তিনি চট্টগ্রাম ক্লাবের একটি ভিআইপি কক্ষে ওঠেন। ঘণ্টাখানেক পর তিনি ক্লাব থেকে বেরিয়ে রাত পৌনে ১১টায় ফেরেন। কক্ষে ঢোকার আগে তিনি ডেস্কে গিয়ে ব্রেকফাস্টের সময় জেনে নেন।

সকাল ১০টা পর্যন্ত দরজা না খোলায় কক্ষের পেছনের জানালা দিয়ে দেখা যায়, বিছানার ওপর তিনি নিথর অবস্থায় পড়ে আছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আলমগীর বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, সাবেক সেনাপ্রধান গত (রোববার) রাতে কোথাও দাওয়াত খেয়ে ক্লাবে ফিরে আসেন। আজ সকালে উনার একটা প্রোগ্রাম ছিল। সকাল ১০টায়ও কক্ষ থেকে বের না হওয়ার উনার আর্মি প্রোটকল টিমের সদস্যদের সন্দেহ হয়।’

‘পরে ক্লাবের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে কক্ষের পেছনে কাচের জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে উনারা দেখতে পান, তিনি মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। আমাদের ধারণা, তিনি স্ট্রোক করেছেন। আমরা ময়নাতদন্ত করার কথা বলেছি। এখন উনার পরিবার যা সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই হবে।’

সাবেক সেনাপ্রধানের নিকটাত্মীয় এনাম আহমেদ বলেন, ‘আজ উনার একটি মামলায় আদালতে হাজিরার কথা ছিল। সেজন্যই মূলত তিনি ঢাকা থেকে এসেছিলেন। চট্টগ্রাম ক্লাবের ভিআইপি রুমে একাই ছিলেন। সম্ভবত স্ট্রোক করে মারা গেছেন।’

এম হারুন উর রশীদের বয়স প্রায় ৭৫ বছর। তিনি বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ২০০০ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২০০২ সালের ১৬ জুন পর্যন্ত তিনি দেশের দশম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অবসরে যাবার পর হারুন উর রশীদ ডেসটিনির সঙ্গে ব্যবসায় যুক্ত হন। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলও খাটেন।