
সাংবাদিক হত্যায় গ্রেপ্তার ৭
- ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১৪:০১

গাজীপুরে সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনের নির্মম হত্যাকাণ্ডে করা মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এনিয়ে এই মামলায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করল গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি)।
শুক্রবার রাতে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার রবিউল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাতের অভিযানে গ্রেপ্তার তিনজন হলেন শাহজালাল, ফয়সাল হাসান ও সুমন। এরআগে গ্রেপ্তার করা হয় কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপী, স্বাধীন ও আলামিনকে।
শনিবার সকালে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আগে গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের দেওয়া তথ্যে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে অভিযান চালানো হয়। পরে তুহিন হত্যার ঘটনায় সরাসরি অংশ নেওয়া মো. শাহজালালকে (৩২) গফরগাঁও থানার চর মসলন্দ মোড়লপাড়া থেকে , ফয়সাল হাসানকে চান্দনা মাহবুব স্কুলের মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সুমনকে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তায় মসজিদ মার্কেটের সামনে কুপিয়ে ও জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সাংবাদিক তুহিনকে।
জিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এক নারী ও তাঁর চক্রের সদস্যরা বাদশা নামের এক লোককে টার্গেট করেন। এ সময় বাদশা ওই নারীর ফাঁদে না পড়ে তাঁকে একটি থাপ্পড় দেন। এ সময় নারী চক্রের সদস্যরা বাদশার ওপর হামলা করে। ধাওয়া করে তাঁকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এ সময় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন সড়ক থেকে সেই ভিডিও ধারণ করতে গেলে ওই চক্রের সদস্যরা তাঁকে ধাওয়া করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা তুহিনকে দেখে ফেলে ভিডিও মুছে ফেলতে বলে। তুহিন ভিডিও মুছতে অস্বীকার করলে তাঁকে ধাওয়া দেয়। এসময় তুহিন দৌড়ে পালাতে থাকে। সন্ত্রাসীরাও তাঁর পিছু নেয়। একপর্যায়ে চান্দনা চৌরাস্তার মসজিদ মার্কেটের সামনে একটি দোকানের কাছে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তুহিনের মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এর আগে বুধবার গাজীপুর সদর এলাকায় আনোয়ার হোসেন নামের এক সাংবাদিককে পাথর দিয়ে থেঁতলে ও কিলঘুষি মেরে আহত করা হয়।