কলকাতায় আ. লীগের অফিস ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে

আওয়ামী লীগ

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যায় টানা সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে অন্তর্বর্তী সরকার ও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিবৃতি আর হুমকি দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এসব অপকর্মে নিরব ছিল মোদি প্রশাসন। এবার ভারতে আইন অমান্য করে ‘পার্টি অফিস’ খুলে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে ঢাকায় নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি দুই দেশের সম্পর্ক আরও তলানিতে নেবে। আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, কলকাতায় গণহত্যায় অভিযুক্ত দলটির কার্যক্রম চালাতে দেওয়াটা বেআইনি ও হঠকারী সিদ্ধান্ত।

ভারতের কলকাতায় পার্টি অফিস খুলে কার্যক্রম চালাচ্ছে গণহত্যায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ। রাজ্যের উপনগরীর একটি  বাণিজ্যিক ভবনের আট তলায় এই অফিস। নেতাদের পাশাপাশি স্বৈরশাসকের সহযোগী প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও আসা যাওয়ার তথ্য বিবিসিকে জানায় পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করা দলটির নেতারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের বিচার চলছে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এমন সময়ে সেখানে তাদের কার্যক্রম চালাতে দেওয়াটা হঠকারী সিদ্ধান্ত।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. নাঈম আশফাক চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিবাদী দলটির এই অফিস দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক আরও তলানিতে নেবে।

ভারতের করপোরেট ও বাণিজ্যিক আইনে দেশটিতে বিদেশি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানো নিষিদ্ধ।