দুই কোম্পানীর শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, ডিএসইর সতর্কতা

ডিএসই

শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে দুই কোম্পানীকে সতর্ক করেছে  ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। যদিও অভিযুক্ত দুই কোম্পানীই বলছে তাদের কাছে এমন কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই, যা এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ হতে পারে। 

তবে সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি রাহিমা ফুড কর্পোরেশন এবং সাফকো স্পিনিং তাদের শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে সতর্কবার্তা দিয়েছে ডিএসই।

রাহিমা ফুডের ১৩৮ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে ডিএসই বলছে, সিটি গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রাহিমা ফুডের শেয়ারের দাম গত দুই মাসে প্রায় ১৩৮ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ১৫ জুন শেয়ারটির দাম ৬৮ টাকা থাকলেও ৭ আগস্ট তা বেড়ে ১৬১ টাকা ৭০ পয়সায় পৌঁছায়। এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণ জানতে ডিএসই তিনবার কোম্পানিটির কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠালেও তারা প্রতিবারই একই উত্তর দিয়েছে—কোনো অপ্রকাশিত তথ্য নেই।

রোববার (১০ আগস্ট) এই শেয়ারের দাম ১.০৫ শতাংশ কমে ১৬০ টাকায় নেমে আসে, যা বাজার বিশেষজ্ঞরা মুনাফা তুলে নেওয়ার ফল হিসেবে দেখছেন। বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, রাহিমা ফুডের শেয়ার এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে লেনদেন হচ্ছে। এর পিই অনুপাত ৪৬১.৫৪, যা সাধারণত গ্রহণযোগ্য ঝুঁকির সীমা ৪০-এর অনেক উপরে। এই সময়ে কোম্পানিটি কেবল একটি নেতিবাচক মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করে, যেখানে তারা জানায় যে নারকেল তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায় তাদের উৎপাদন প্ল্যান্টের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।

অপরদিকে, সাফকো স্পিনিং-এর শেয়ারের দামও ২২ জুন থেকে ৭ আগস্টের মধ্যে ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। অথচ ডিএসইর পরিদর্শন দল গত ৩ ফেব্রুয়ারি নিশ্চিত করে যে, কোম্পানিটির কারখানা বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ডিএসই তাদের কাছেও এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়েছে। ১০ আগস্টের জবাবে সাফকো স্পিনিংও জানায়, তাদের কাছে কোনো অপ্রকাশিত তথ্য নেই।

কোম্পানিটি জানায়, প্রতিকূল বাজার পরিস্থিতি এবং কাঁচামালের উচ্চ মূল্যের কারণে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত তাদের উৎপাদন বন্ধ থাকবে। টানা দুই বছর লোকসানে থাকা এবং কোনো ডিভিডেন্ড না দেওয়া জেড-ক্যাটাগরির এই কোম্পানির এমন মূল্যবৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।