নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে ইসির পরিকল্পনা

ইসি

প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে চিঠি পাওয়ার পর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আর সে মোতাবেকই একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগুচ্ছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। 

তারই অংশ হিসেবে আগামী সপ্তাহে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকালে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। 

এর আগে, গত ৭ আগস্ট সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস বলেছেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ।

এর আগে, গত ৬ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির রমজানের আগেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলেছে।

এ চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সরকারের অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকবে। ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে ডিপফেইক, মিথ্যা, পক্ষপাতমূলক, অপপ্রচারমূলক, কুৎসা ও মানহানিকর কনটেন্ট (যেমন, এডিট ভিডিও, অডিও, বানোয়াট খবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। এমনকি প্রার্থী ও দলীয় নেতাদের চেহারা বিকৃত করে কোনো প্রচার চালানো যাবে না। কেউ এসব কার্যক্রম করলে তার বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা বা ডিজিটাল আইনে মামলা হবে। এমন নতুন বিধান যুক্ত করে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।

 আখতার আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির মতামত নিয়ে এ আচরণ বিধিমালার খসড়া তৈরি করেছে ইসি। গত ২৯ জুন নির্বাচন কমিশন যে খসড়া আচরণ বিধিমালা প্রকাশ করেছিল, সেখানে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ওই খসড়ায় শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের কথা উল্লেখ ছিল। বিএনপিসহ একাধিক মতামতের ভিত্তিতে আচরণ বিধিমালায় এআই’র অপব্যবহারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারের বিষয় বেশ কিছু নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, খসড়া বিধিমালায় নির্বাচনি প্রচারণা ও ভোটগ্রহণের দিন ড্রোন, কোয়াডকপ্টার বা এ জাতীয় যন্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।