সাঈদীকে নিয়ে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর আবেগঘন পোস্ট

সাঈদী

প্রয়াত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী। প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে উক্ত পোস্ট করেন ড. আজহারী।

এতে তিনি লেখেন, ‘আল্লামা সাঈদী রহিমাহুল্লাহ-র অনন্য খিদমাহ জাতি যুগ যুগ স্মরণ করবে। আল্লাহ তাআলা তার পবিত্র কালামের একনিষ্ঠ এই বাণী বাহককে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন।’

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কোরআন ড. মিজানুর রহমান আজহারীর সেই পোস্ট ইতিমধ্যেই ‘ভাইরাল’ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ৭ মিনিটে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে স্মরণে ফেসবুকে ওই পোস্টটিতে ৪ লাখ রিঅ্যাক্ট, ৬৫ হাজার কমেন্ট ও সাড়ে ৯ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে।

২০২৩ সালের এই দিনে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। তবে সাঈদীকে সম্পূর্ণ নির্দোষ উল্লেখ করে তাকে চিকিৎসার মাধ্যমে হত্যার অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এবং রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাবেক এমপি ও আগামী নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। হাসপাতালে সাঈদীর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা সেই চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান দাবি করেন, ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে সাঈদীর মৃত্যু হয়।

জামায়াতের আমির অভিযোগ করেন, হাসপাতালের ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। চিকিৎসায় অবহেলার বহু তথ্য প্রচারিত হয়েছে। ওই অবস্থায় তার সন্তান ও স্ত্রীকে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। এমনি এক পরিস্থিতিতে পিজি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইন্তেকালের পর ঢাকায় তার জানাজা আদায় করতেও দেওয়া হয়নি। লাখ লাখ তৌহিদি জনতা ঢাকায় জানাজা আদায়ের দাবি জানালে পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি চালিয়ে শত শত লোককে আহত করে। অবশেষে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর লাশ তার পিরোজপুর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়। লাখ লাখ তৌহিদি জনতা আল্লামা সাঈদীর জন্য অশ্রুসিক্ত চোখে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।