‘এক চেতনার বদলে দেশে আরেক চেতনার উদ্ভব হয়েছে’

রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এক চেতনার বদলে দেশে আরেক চেতনার উদ্ভব হয়েছে।

আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) প্রেস ক্লাবে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, জুলাই আন্দোলনে শিশু-কিশোররা আবাবিল পাখির ঝাঁকের মতো রাজপথে নেমে এসেছিল। এর মাধ্যমে আমরা মুক্তি পেয়েছি, গণতন্ত্রও মুক্তি পেয়েছে। তবে অভ্যুত্থানের পর তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলোর সমালোচনা করেন তিনি।

ধর্মের নামে নতুন এক ধরনের চেতনার উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, একটি নির্দিষ্ট সংগঠনের লোকজন সর্বত্র অবস্থান করে আছে। তার অভিযোগ, শেখ হাসিনার প্রভাব যেন আবারও নতুনভাবে দেশের ওপর ভর করেছে।

এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুবদল আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমরা সকল গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে আলোচনায়রত। আমরা জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষমাণ। সারা জাতি অপেক্ষমাণ। আমরা সেই গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষমাণ, যেই গণতন্ত্রের জন্য আমাদের সন্তানরা শহীদ হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। আমরা অবিরাম ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্রের সংগ্রাম করেছি, সেই গণতন্ত্রের জন্য আমরা অপেক্ষমাণ।

সালাহউদ্দিন বলেন, এই গণতন্ত্রকে যদি আমরা বিনির্মাণ করতে চাই, গণতান্ত্রিক সাম্যের রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই তাহলে এই গণতন্ত্রের জন্য আমাদের জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই জাতীয় ঐক্যকে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে যারা বিভিন্ন বক্তব্যের মধ্যদিয়ে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়, তারা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষের শক্তি নয়। তারা হয়তো কোনো না কোনো কারণে নিজের কথাগুলোই ইনিয়ে বিনিয়ে বলছেন, যাতে করে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করা যায়, অথবা বানচাল করা যায় অথবা নির্বচান অনুষ্ঠান না হোক এটা চায়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য, ভোটাধিকারের জন্য ঐক্যবদ্ধ। এর বিরুদ্ধে যারাই কুযুক্তি উত্থাপন করে গণতন্ত্রের এই যাত্রাপথকে কণ্টকাতীর্ণ করতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ রুখে দাঁড়াবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি আবারও বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে। যারা নানা অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষে নয়।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়া গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন জানান, তার নির্দেশনা অনুসারেই বিএনপি সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হচ্ছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে হলে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে জাতীয় ঐক্যে রূপান্তরিত করতে হবে।