বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক; গুরুত্ব পেল যেসব বিষয়

শুল্ক

একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কারোপ করলেও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলমান রয়েছে। এবার বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর পল জি. ফ্রস্ট এবং দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দুই দেশের বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার, রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন দিকগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাজার। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য সম্ভাবনা ও সাপ্লাই চেইনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে একটি সময়োপযোগী বাণিজ্য চুক্তি দুই দেশের জন্যই লাভজনক হবে। তিনি বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

এ সময় মার্কিন কমার্শিয়াল কাউন্সেলর পল জি. ফ্রস্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের একটি সম্ভাবনাময় বাজার, এ সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করতে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, যোগাযোগ ও নেটওয়ার্কিং বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি আসন্ন ‘ইনভেস্টমেন্ট সামিট’-এ বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উইংয়ের প্রধান মো. জাফর ইকবাল এবং সেইফটি কাউন্সিলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহীদউল্লাহ।