
বড় ঘাটতির মুখে এনবিআর
- ২১ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৫
-12117.jpg)
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও রাজস্ব ঘাটতির মুখে পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ মাসে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৬২ কোটি টাকা।
জুলাই মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারিত ছিল ৩০ হাজার ১১১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। কিন্তু আদায় হয়েছে ২৭ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা, ফলে লক্ষ্যের তুলনায় ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮৬২ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২১ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। সে তুলনায় চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় এবার ৫ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে।
এনবিআরের পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যমতে, জুলাই মাসে সর্বাধিক রাজস্ব এসেছে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক (ভ্যাট) খাত থেকে। এ খাতে আদায় হয়েছে ১১ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার ৭৪৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার চেয়ে বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ভ্যাট আদায় ছিল ৮ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা।
অন্যদিকে আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে জুলাই মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা যা জুলাই-২০২৪ মাসের আদায় করা ৫ হাজার ১৭৫ কোটি টাকার চেয়ে ১ হাজার ১২০ কোটি টাকা বেশি। প্রবৃদ্ধির হার ২১.৬৫ শতাংশ। যদিও চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় পিছিয়ে ২ হাজার ৯১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
আর ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে আমদানি ও রপ্তানি খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮ হাজার ১৭০ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধি ১৭.৫২ শতাংশ হলেও এই খাতে ঘাটতি প্রায় ৫৪৮ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ বলেন, রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। সম্মানিত করদাতারা আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমাণ কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন বলে আশা করছি।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ৯ শতাংশ। যার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।