
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর দিয়ে বাড়ছে রপ্তানি আয়
- ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১৩:২১

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর দিনাজপুরের হিলি দিয়ে ভারতে রপ্তানি কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এর ফলে আগের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি এসেছে। চলতি অর্থবছরের ৩০ জুন থেকে এ পথে রপ্তানি শুরু হয়। এ সময়ের মধ্যে মোট ২ হাজার ৯১ টন পণ্য ভারতে পাঠানো হয়েছে, যা থেকে বাংলাদেশ সরকার আয় করেছে ১৭ লাখ ১০ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার।
এই বন্দর দিয়ে বিগত কয়েক বছর তেমন কোনো পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়নি। তবে বর্তমান ভারতে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দর মূলত আমদানি নির্ভর হলেও এখানে দিন-দিন বাড়ছে পণ্য রপ্তানি পরিমাণ। এই বন্দর দিয়ে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয় তার বিপরীতে প্রায় ৭০ শতাংশ পণ্যই ভারত থেকে আমদানি হয়ে থাকে। বর্তমানে হিলি বন্দর থেকে রাইস ব্রান (তুষের তেল), টোস্ট বিস্কুট, ম্যাংগো জুস, ঝুট কাপুড়, নুডুলসসহ বিভিন্ন ধরনের বেকারি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে আগস্টের ২০ তারিখ পর্যন্ত ২ হাজার ৯১ টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা থেকে ১৭ লাখ ১০ হাজার ৫০০ ডলার আয় এসেছে। যা বাংলা টাকায় প্রায় ১৮ কোটি।
বাংলাহিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, সরকারের আয়ের পাশাপাশি এই স্থলবন্দরে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেক শ্রমিক। ভারতের অভ্যন্তরে কিছু সমস্যা সমাধান করা গেলে এখানকার রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
এদিকে হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দীর্ঘদিন রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বর্তমানে ভারতে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারির পর থেকে আর কোনো পণ্য রপ্তানি হয়নি। পরে চার মাস পর ৩০ জুন থেকে ভারতে আবার পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। কাস্টমসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।