
বাণিজ্য বাড়াতে চায় পাকিস্তান
- ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০৯:১৮
-12521.jpg)
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে উভয় দেশই ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান। তাঁর মতে, পারস্পরিক সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বহুগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে সফররত পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।
সভায় জাম কামাল খান বলেন, ব্যবসায়ীদের আগ্রহ কাজে লাগিয়ে পর্যটন, সংস্কৃতি, জাহাজ নির্মাণ, কনস্ট্রাকশন ও আইসিটি খাতে বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব। চট্টগ্রাম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা পাকিস্তানের জন্য সম্ভাবনাময় সহযোগিতার ক্ষেত্র হতে পারে। এ ছাড়া নির্মাণ সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রেও সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান পর্যায়ক্রমে খাতভিত্তিক ব্যবসায়ী ডেলিগেশন বাংলাদেশে পাঠাবে। একইসঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বাণিজ্যের দিকেও নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একসঙ্গে কাজ করলে আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ার বাজার ধরার সুযোগ তৈরি হবে।
এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেও দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তিনি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ, এফটিএ গবেষণা, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, এমএসএমই, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, ফিনটেক, টেক্সটাইল, পাট ও ডিজিটাল অর্থনীতিসহ বিভিন্ন খাতে যৌথভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেন।
এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর বলেন, ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে সম্পর্ক জোরদার করা এখন সময়ের দাবি। এজন্য আমদানি–রপ্তানি বাড়াতে ডেলিগেশন বিনিময় ও ভিসা সহজীকরণ জরুরি।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সিএনজি মেশিনারিজ ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাকির হোসেন নয়ন, এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন, নিয়াজ আলী চিশতী, ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রতিনিধি প্রমুখ। বক্তারা বাংলাদেশ–পাকিস্তান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ), অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ), চা ও পাটপণ্য আমদানির ওপর জোর দেন।