উত্তাল চবি

চবি

ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট এলাকায় এই সংঘর্ষ শুরু হয়। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী এখনও সংঘর্ষ চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার রাতে সংঘর্ষের জের ধরে রোববার দুপুর ১২টার দিকে আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ শুরু হয়ছে।

এ সময় উভয়পক্ষ ইটপাটকেল ছোড়া এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ আরিফসহ অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ আরিফ বলেন, আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমি এখন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, স্থানীয় গ্রামবাসী আজ সকালের পর জড়ো হয়ে আবারও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। এতে নতুন করে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গ্রামবাসী চারপাশ থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর দুই নম্বর গেইট এলাকায় হামলা করছে।

চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, চবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে এদের মধ্যে অনেকেই পরীক্ষার্থীও ছিলেন। সবার কথা বিবেচনা রেখেই আজকের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থী দর্শন বিভাগের ২০২৪-২৫ সেশনের ছাত্রী সাফিয়া খাতুন। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সাফিয়া রাত আনুমানিক ১১টার দিকে বাসায় ফিরলে গেট বন্ধ পান। একাধিকবার ধাক্কা দেওয়া সত্ত্বেও গেট খোলা হয়নি। পরে তার সহপাঠীরা এসে দারোয়ানকে গেট খুলতে অনুরোধ করলে তিনি তাতেও রাজি হননি। একপর্যায়ে দীর্ঘক্ষণ চিৎকার-চেঁচামেচির পর গেট খোলা হয়। ভেতরে ঢোকার সময় দারোয়ান শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তুই এত লেট করে কেন ঢুকলি? এ সময় তিনি ওই শিক্ষার্থীকে ধাক্কা ও মারধর করেন।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী ও তার বন্ধুরা আত্মরক্ষার জন্য দারোয়ানের ওপর চড়াও হন। পরে ওই শিক্ষার্থী তার পরিচিত সিনিয়রদের খবর দেন। তারা দারোয়ানকে আটকানোর চেষ্টা করলে সে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় খবরটি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে আরও শিক্ষার্থী সেখানে জড়ো হন। এর পর স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংঘর্ষও তীব্র আকার ধারণ করে এবং শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। 

পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৩টায় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর সকাল ৭টায় সেনাবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ত্যাগ করে।