আইএসপিআরের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান

আইএসপিআর

ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের ওপর হামলা ঘটনাকে ‘মব’ বলতে নারাজ  দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।

তিনি বলেন, এ ঘটনার পর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) যে বিবৃতি দিয়েছে সেটি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।

আজ রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

এর আগে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইল এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। গুরুতর আহত নুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি এখন চিকিৎসাধীন।

ঘটনাস্থলে ‘মব ভায়োলেন্সের’ মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা হয়েছে উল্লেখ করে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর আইএসপিআর জানায়, ‘জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বল প্রয়োগে বাধ্য হয়।’

এক বিবৃতিতে আইএসপিআর জানায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন এবং জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠলে সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে, যাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

আইএসপিআরের ভাষ্যে, ‘তবে বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও কতিপয় নেতাকর্মী তা উপেক্ষা করে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করে। তারা সংগঠিতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায় এবং রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা আরও বৃদ্ধি করে। এ সময় তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ারও চেষ্টা চালায়। এ ছাড়াও বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সাধারণ জনগণের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এবং জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়।’

‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব চেষ্টা তারা অগ্রাহ্য করে। ফলস্বরূপ, জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বল প্রয়োগে বাধ্য হয়।’

আইএসপিআর জানায়,  সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য আহত হন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকার ‘মব ভায়োলেন্স’-এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। সেনাবাহিনী সরকারের এই অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে বলেছে, তারা যেকোনো ধরনের জননিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত এবং আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।