
বোনাস ডিভিডেন্ড দেবে প্রতিষ্ঠান
- ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৮
-10210.jpg)
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স পিএলসি বিনিয়োগকারীদের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশে পরিবর্তন এনেছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে সেটি সংশোধন করে এখন ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়া হবে। এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সিদ্ধান্তের পেছনে কোম্পানিটির আর্থিক পারফরম্যান্স একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি–জুন) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমে দাঁড়িয়েছে ৪৫ পয়সায়, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬০ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৫ শেষে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৪০ পয়সায়।
এর আগে, ২০২৪ অর্থবছরে ন্যাশনাল হাউজিংয়ের ইপিএস ছিল মাত্র ৩ পয়সা, যেখানে তার আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৩ পয়সা। ওই বছরের শেষে এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৭ টাকা ৯৫ পয়সায়। তবে ২০২৩ অর্থবছরে ইপিএস ১ টাকা ৩ পয়সা থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ইপিএস ছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা।
ডিএসই জানায়, প্রথমে ন্যাশনাল হাউজিং ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছিল। কিন্তু মূলধন শক্তিশালী করা এবং ব্যবসায় পুনর্বিনিয়োগের স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন না দিয়ে বোনাস ডিভিডেন্ড দেওয়ার নির্দেশনা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাশনাল হাউজিংয়ের পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হাউজিং ২০০৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে এর অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১১৭ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। বিপরীতে রিজার্ভে রয়েছে ১০৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৭০ লাখ ৩১ হাজার ২০০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫০.৫৭ শতাংশ, সরকারের কাছে ৯.৩৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১১.২৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৮.৮১ শতাংশ শেয়ার।