কাতারে হামলা নিয়ে কী বলছে ট্রাম্প?

কাতার

দোহায় ইসরায়েলের হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টা পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসকে সেনাবাহিনী জানিয়েছিল যে ইসরায়েল হামাসকে আক্রমণ করছে, যা দোহার একটি এলাকায় অবস্থান করছিল। তবে তখন আর হামলা ঠেকানো সম্ভব হয়নি।

ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন, এই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর, তাঁর নয়। তিনি মন্তব্য করেন, এ হামলা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ অগ্রসর করেনি, বরং কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। একই সঙ্গে আশ্বাস দেন, এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে—ট্রাম্প প্রশাসন কি অপ্রস্তুত অবস্থায় ধরা খেয়েছিল, নাকি যুক্তরাষ্ট্র নীরব সম্মতি দিয়েছিল। এমনকি এই হামলা কি ওয়াশিংটনের ইসরায়েলের প্রতি “অটল সমর্থনে” ফাটল ধরাতে পারে, তা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

অ্যাক্সিওসের খবরে বলা হয়, হামলার সময় হামাস ট্রাম্প প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছিল। এতে ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ হন।

তবে মঙ্গলবার বিকেলে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এড়িয়ে যান—ইসরায়েল কি কোনো শাস্তির মুখোমুখি হবে কিনা। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণ সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকে।

সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি এ হামলায় “খুশি নন”। তবে বিস্তারিত মন্তব্য না করে জানান, এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ বিবৃতি আগামীকাল দেওয়া হবে।

সূত্র: আল জাজিরা