জাবিতে শিবিরের বেদনাবিধুর ইতিহাস

জাবি

১৯৯২ সালের কথা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি হওয়ার জন্য ভাইবা দিতে আসেন গ্রাম থেকে এক সহজ সরল ছেলে কামরুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয় এসে এক নিকট আত্মীয়র রুম মাওলানা ভাসানী হলে উঠেন। হল মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ার পরে কামরুল ইসলামকে সন্দেহ করে ছাত্রদলের হিংসা হয়নারা। আর সহযোগিতা করে বাম দল। তারা কামরুলকে ১৩২ নম্বর রুমে নিয়ে যায় শিবের সন্দেহে তাকে কিল ঘুষি লাথি মেরে মেঝেতে রক্তাক্ত করে ফেলে দেয়। পরে তার পকেটে শিবিরের ডাইরি পেলে ছাত্রদলের হিংস্র জানোয়াররা শিওর হয়ে যায় যে কামরুল ইসলাম শিবির। এরপর চলে অমানুষিক নির্যাতন তাফসির বোতল লাঠি দিয়ে তাকে মারতে মারতে হাত পা চারটা ভেঙে দেয়া হয় যখন কামরুল ইসলাম ব্যথায় চিৎকার করে তখন তার চোয়াল পেপসির বোতল দিয়ে বাড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলে। তার ঘোংরানি যাতে বাহিরে না আসে সেজন্য মুখের মধ্যে কাপড় ঢুকিয়ে দেয়া হয়। 

উপায়ান্তর না দেখে ছাত্রদলের ক্যাডাররা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দুজন কর্মচারীকে দিয়ে মেডিকেলে পাঠায়। কর্তব্যরত ডাক্তারগণ রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেলের রেফার করে কিন্তু ছাত্রদলের হিংস্র জানোয়াররা কামরুল ইসলামকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে দেয়নি। পরে এই দুইজন কর্মচারী কামরুল হাসানকে বেবি ট্যাক্সি করে ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বর্তমান লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের এখানে আসলে কামরুল ইসলাম আল্লাহর আল্লাহর ডাকে শহীদ হয়ে যান। কর্মচারীরা ভয়ে তার লাশ সেখানে রেখে ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলে আসে। পরে পুলিশ এই লাশ নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়। এখান থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ তারা লাশ রিসিভ করে। 

এই হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস। এখানে সরাসরি দাওয়াতী কাজ তো দূরের কথা সন্দেহ হলেই খুন সেখানে জায়েজ ছিল। আল্লাহ শহীদ কামরুল ইসলাম ভাইয়ের রক্তে ভেজা ময়দানকে নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তুলতেছে এবং ছাত্র শিবিরকে নিরঙ্কুশ বিজয় দান করেছেন। 

অপরপক্ষে ফোনে ছাত্রদলকে বেইজ্জতি করে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করেছে যেইভাবে শহীদ আব্দুল মালেকের রক্তে ভেজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরকে বিজয় দান করেছেন আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ। যত যাবে রক্ত শিবির হবে শক্ত, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়।