ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভয়ংকর প্রমাণ

ইসরায়েল

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড গণহত্যার শামিল এবং এর উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস করা। এ জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের উসকানিমূলক ভূমিকা দায়ী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এক ঐতিহাসিক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন জানায়, ইসরায়েল ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনের পাঁচটি অপরাধের মধ্যে চারটি সংঘটন করছে। ফলে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ঘরবাড়ি, আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ অঞ্চলগুলোতে বোমা বর্ষণ করছে, যেখানে নিহতদের অর্ধেকের বেশি নারী, শিশু ও প্রবীণ।

এছাড়া ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন, যৌন সহিংসতা, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ও সাংস্কৃতিক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও চিকিৎসা সহায়তা বন্ধ রেখে গাজায় অবরোধ আরোপ করে ফিলিস্তিনিদের অনাহারে রাখা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েল সচেতনভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যা গাজার জনগণকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রজনন সহিংসতা। গাজার সবচেয়ে বড় আইভিএফ ক্লিনিকে হামলার ফলে হাজারো ভ্রূণ, শুক্রাণু ও ডিম্বাণু ধ্বংস হয়েছে, যা জন্ম রোধের একটি পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই অপরাধগুলোই সেই চারটি কাজ, যেগুলো প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ) ইসরায়েলকে নির্দেশনা দিয়েছিল।