স্যারকে ঘুসের প্রস্তাব দিয়ে বিপাকে কর্মকর্তা

ঘুস

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল মানুষ। যেখানে ঘুস, দুর্নীতি থাকবে না, থাকবে না হানাহানি। তবে এখনও কমেনি দুর্নীতি ও অবৈধ অর্থ উপার্জন। তবে ঘুসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে গেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে ‘ঘুসের প্রস্তাব’ দেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে গত ৮ সেপ্টেম্বর এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে বিষয়টি সামনে আসে মঙ্গলবার।

ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।

ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসানের স্বাক্ষরে এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, “ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, অঞ্চল-১, প্রশাসন শাখার কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ, অদক্ষতা, দুর্নীতি বা প্রতারণায় জড়ানোর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করে বিধি মোতাবেক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। বরখাস্তকালীন বিধি মোতাবেক তিনি খোরাকিভাতা প্রাপ্য হবেন।”

জানা গেছে, সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে ডিএনসিসির প্রশাসককে উপকর কর্মকর্তা পদে পদায়ন করার জন্য মিজানুর রহমান এ ঘুসের প্রস্তাব করেন। সরাসরি ঘুস প্রস্তাব করায় প্রশাসক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। ডিএনসিসি সম্প্রতি কয়েকজন কর্মচারীকে উপকর কর্মকর্তা পদে পদায়ন করে। মূলত উপকর কর্মকর্তা পদটি নবম গ্রেডের কিন্তু এসব পদে ১৬-১৪ গ্রেডের কর্মচারীদেরও পদায়ন করা হয়েছে। মিজানুর রহমানও এ পদের জন্য আগ্রহী ছিলেন।

মোহাম্মদ ইজাজকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় মিজানুর রহমান লেখেন, ‘স্যার আমি মিজানুর রহমান, আমার বর্তমান পদবি: প্রশাসনিক কর্মকর্তা অঞ্চল ১ (উত্তরা) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। স্যার কাজটি করে দিলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব এবং আপনার জন্য এক লক্ষ টাকার উপহার আছে আমার পক্ষ থেকে। স্যার রাজি থাকলে এক লক্ষ টাকাও দিতে পারি কেউ জানবে না। স্যার কিছু মনে করবেন না।’

অভিযোগ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘুষের প্রস্তাবের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, কিন্তু কেন করা হয়েছে আমি সঠিক জানি না।’ 

তবে উত্তর সিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিজানুর রহমান ইতোমধ্যে প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চেয়েছেন।