
বাংলাদেশের সামনে বড় টার্গেট
- ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:৩১
-12034.jpg)
বাংলাদেশের বোলিং শুরুটা ভালো হয়নি। লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেয়। তবে মাঝের ওভারগুলোতে স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। কিন্তু স্লগ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান ছাড়া অন্যরা বল হাতে ছন্দে ফিরতে না পারায় শেষ পর্যন্ত দেড়শ ছাড়িয়ে যায় শ্রীলঙ্কার রান।
দুবাইয়ে টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে লঙ্কানরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪ রান করেন দাসুন শানাকা।
ইনিংসের প্রথম ওভারে কুশল মেন্ডিসের ছক্কায় মার খান শরিফুল ইসলাম। আক্রমণাত্মক শুরু করা শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন তাসকিন আহমেদ।
পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ভালো লেংথের ডেলিভারি করেন তাসকিন। মিডল ও লেগ স্টাম্পের ওপর থেকে টেনে খেলতে গিয়ে টাইমিং ঠিকমতো না হওয়ায় পাথুম নিশাঙ্কার শট ডিপ মিডউইকেটে সাইফ হাসানের হাতে চলে যায়। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি ১৫ বলে ২২ রান করেন।
নিশাঙ্কা ফিরলেও আরেক ওপেনার মেন্ডিস রানের চাকা সচল রাখেন। ফলে পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৩ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। তবে পাওয়ার প্লে শেষে রানের চাকায় লাগাম দেয় বাংলাদেশ। অষ্টম ওভারে চতুর্থ বলে শেখ মেহেদিকে সুইপ করতে যান মেন্ডিস কিন্তু টপ এজ হয়ে বল উপরে উঠে যায়, ডিপ ব্যাকওয়াড স্কয়ার লেগে এবারও বল তালুবন্দি করেন সাইফ। ২৪ বলে ৩৪ রান করেছেন সাইফ।
এরপর কামিল মিশরা-কুসাল পেরেরারা সুবিধা করতে পারেনি। এই সময়ে বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে বাংলাদেশ। তবে শেষদিকে দারুণ ব্যাটিং করেছেন দাসুন শানাকা ও চারিথ আসালঙ্কা। বিশেষ করে শানাকা রীতিমতো ঝড় তোলেন। ৩৭ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। যা তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার আসালঙ্কা ১২ বলে করেছেন ২১ রান। তাতে দেড়শ পেরিয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের হয়ে ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়া শেখ মেহেদি দুটি ও তাসকিন আহমেদ একটি উইকেট পেয়েছেন।