বিএনপির দখলবাজির মহোৎসব!

বিএনপি

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা শাসনের অবসানের পর পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিল মানুষ। কিন্তু দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজিতে সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে। বাস-ট্রাক-সিএনজি স্ট্যান্ড দখলসহ বিভিন্ন জায়গা দখল করেছে দলটি। এবার যশোরের শার্শায় একটি পেট্রোল পাম্প দখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আনোয়ার হোসেন নামে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। তিনি জাল-জালিয়াতি ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পাম্পটি দখলে নিতে লাগাতার হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য তনিমা তাসনুমা।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

সংবাদ সম্মেলনে তনিমা তাসনুমা জানান, তার পিতা গোলাম কিবরিয়া ১৯৯৫ সালে ১৭ শতক জমি কিনে মেসার্স গোলাম কিবরিয়া ফিলিং স্টেশন স্থাপন করে ব্যবসা শুরু করেন। ২০২২ সালে তিনি মারা যান। এরপর ২০২৩ সাল থেকে শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার ও তার সহযোগীরা জাল দলিল তৈরি করে পেট্রোল পাম্পটি অনেকবার দখলের চেষ্টা করেন। সবশেষ বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে একটি হস্তান্তর চুক্তিনামা তৈরি করেন। এ ঘটনায় জাল দলিলের বিরুদ্ধে তিনি এবং স্বাক্ষর জালের ঘটনায় বিচারক বাদী হয়ে মামলা করেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওই মামলা দুটি চলমান থাকলেও থেমে নেই আনোয়ার ও তার লোকজন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে ফিলিং স্টেশনে ঢুকে চাবিসহ সব কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন এবং ম্যানেজারকে বের করে দেন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা সেখান থেকে সটকে যান। তবে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পাম্প দখল করার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন।

এ অবস্থায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আনোয়ার হোসেন। তিনি দাবি করেন, ৬ কোটি ৮ লাখ টাকা দিয়ে জমি ও পাম্প ক্রয় করেছেন। ১৯৯৯ সাল থেকে পাম্পটি তিনি পরিচালনা করছেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত পাম্প তার দখলে ছিল। গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী-সন্তানরা দলিল ও চুক্তিনামা মানে না। তারা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি ও পুলিশকে দিয়ে আমার কাছ থেকে পাম্পটি দখল করে নিয়েছে।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম বলেন, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির তদন্ত চলছে।