ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি নিয়ে কী বলছে যুক্তরাষ্ট্র?

ফিলিস্তিন

ইসরায়েলের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের অবসান ঘটাতে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ কয়েকটি প্রভাবশালী দেশ। তবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি শুধু ‘লোক দেখানো’ বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।  

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, আমাদের মনোযোগ রয়েছে গভীর কূটনীতি নিয়ে, লোক দেখানো কৌশল নয়। আমাদের অগ্রাধিকার স্পষ্ট, বন্দিদের মুক্তি, ইসরাইলের নিরাপত্তা এবং সমগ্র অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি যা কেবল হামাসমুক্ত পরিস্থিতিতেই সম্ভব। 

এদিকে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও পর্তুগাল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি পশ্চিমা দেশগুলোর দীর্ঘদিনের বৈদেশিক নীতিতে এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন হিসেবে ধরা হচ্ছে। চার দেশের এই পদক্ষেপে ইসরাইল ক্ষুব্ধ হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রও এর তীব্র সমালোচনা করেছে।   

গাজায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিরা এই স্বীকৃতিকে ‘জয়’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কখনোই প্রতিষ্ঠা পাবে না। 

আরও কিছু দেশ আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ সভার আলোচনায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

ইসরাইল গাজার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে, যা ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে মারাত্মক মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে।  

নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতি নিয়ে বলেন, এটি ইসরাইলের অস্তিত্বের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’। তিনি আরও বলেন, জর্ডান নদীর পশ্চিমে কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে না।