
জাতিসংঘে পাকিস্তান-বাংলাদেশের তুলনা করে ক্ষোভ
- ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪:২৪

একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নানান বিষয়ে তুলনা করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে তুলনাটা হয়, সেটা হলো পাকিস্তানের ভঙ্গুর অর্থনীতি। দেশটির তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকটা শক্তিশালী। তবে অর্থনৈতিক দুর্বলতার মধ্যেও পাকিস্তান বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে একই পর্যায়ে উপস্থিত হয়, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সাধারণত দেখা যায় না। এবার সে বিষয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মধ্যপ্রাচ্য ও আন্তর্জাতিক বিষয়য়াবলির গবেষক সাবিনা আহমেদ।
জাতিসংঘের অধিবেশনে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্প-এরদোগানের পাশাপাশি বসে আছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। সেই ছবি নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) শাহবাজ শরীফ ও ড. ইউনূসের ছবি শেয়ার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি। পোস্টটি বাংলাকণ্ঠ পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
আমার খুব ক্ষোভ হয়, যখন দেখি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ গাজা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি গুরুতর আলোচনাসভায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান, জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ দ্বিতীয়, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সঙ্গে একই টেবিলে বসে কথা বলছেন, অথচ আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মঞ্চ থেকে কেবল কয়েকটি ছবি তুলে পাঠাচ্ছেন এবং তার সাথে থাকা ডেলিগেটরা সেখানে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের কাছ থেকে ডিমের আক্রমণের শিকার হচ্ছে।
১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ করেছি, আর পাকিস্তান পরাজিত হয়েছে। তারপর থেকে পাকিস্তান নিউক্লিয়ার অস্ত্র তৈরি করেছে (১৯৯৮ সালে প্রথম পরীক্ষা), আল-খালিদ ট্যাঙ্ক প্রডিউস করেছে, হ্যাঙ্গর-শ্রেণির সাবমেরিন নির্মাণ করেছে, জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান তৈরি করেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ এখনও অধিকাংশ অস্ত্র আমদানি করে চলেছে এবং সামরিক সক্ষমতায় পাকিস্তানের থেকে বহু পিছিয়ে রয়েছে।
পাকিস্তানের মাঝেও প্রচুর অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা, কিছুদিন পর পরই ভারতের সাথে সংঘাত; কিন্তু এসবের মাঝেও পাকিস্তান রাষ্ট্র হিসাবে এগিয়ে চলেছে, বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নিচ্ছে। আর আমরা অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা এবং প্রতিবাদের মধ্যে ডুবে আছি, যেখানে ডিম ছোঁড়া-ছুড়ির মতো তুচ্ছ ঘটনাই আমাদের ‘যুদ্ধ’ হয়ে উঠেছে।