
বন্ধুকে ভিডিও কলে রেখেই নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:৫৪

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম ফাহিমা সুলতানা মারিয়া (২৪)। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে তারা শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নোয়াখালীর মাইজদী রশিদ কলোনির একটি ভাড়া বাসা থেকে ফাহিমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
বন্ধুকে ফেইসবুক মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে রেখেই ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। ফাহিমার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়। পড়াশোনার সুবাদে তিনি রশিদ কলোনির হোসেন টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় সহপাঠীদের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তবে দুর্ঘটনার সময় তিনি একাই ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক আত্মীয় বাসায় গিয়ে দরজা ভাঙলে জানালার সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ফাহিমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
সহপাঠীরা জানান, পূজার ছুটিতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাড়ি গেলেও ফাহিমা মেসে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়। শুক্রবার বিকেলে একটি অনলাইন ক্লাসে অংশ নেয়ার কথা থাকলেও ফাহিমা যুক্ত হননি এবং ফোনেও সাড়া দেননি।
তার সহপাঠীরা জানান, অসুস্থতার কারণে সে নিয়মিত ঘুমের ওষুধ সেবন করতো। সেজন্য গতকাল প্রথমে সহপাঠীরা ভেবেছিল ওযুধের কারণে হয়তো ঘুমাচ্ছে। পরে রাত ৮টার দিকে জানতে পারে ফাহিমা আত্মহত্যা করেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সকালে বাসায় যাওয়ার কথা বললে ফাহিমা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু বিকেল থেকে তার ফোনে বারবার কল করেও সাড়া না পাওয়ায় পরিবারের দুশ্চিন্তা বাড়ে। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে কয়েকজন বন্ধু বাসায় গিয়ে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর জামাল উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিকেল চারটার দিকে ফাহিমা মেসেঞ্জারে এক বন্ধুর সঙ্গে ভিডিও কলে থাকা অবস্থায় গলায় ফাঁস দেন। তার মোবাইল ফোন থেকেও এমন আলামত মিলেছে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় তার মুঠোফোনে ভিডিও কল চালু ছিল। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যাই মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্ত করলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের না করে ফাহিমার পরিবার মরদেহ দাফনের উদ্দেশ্যে নিজ গ্রামে নিয়ে গেছে।