ফিলিস্তিনের পক্ষে হলিউড অভিনেত্রীর বার্তা

অভিনেত্রী

গত ২৩ মাসের অধিক সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের নৃশংসতায় কেঁপে উঠেছে পুরো বিশ্ব। গাজা যুদ্ধ বন্ধে তাই আওয়াজ তুলছেন মানবাধিকার কর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এ তালিকায় রয়েছেন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও।

এ বছরের অন্যান্য চলচ্চিত্র উৎসবের মতো সান সেবাস্তিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৩তম আসরেও গুরুত্ব পেল রাজনৈতিক প্রসঙ্গ। স্পেনে ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া উৎসবটি শেষ হয়েছে গতকাল। এতে প্রদর্শিত হয় অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্সের নতুন সিনেমা ‘ডাই মাই লাভ’। সবচেয়ে কম বয়সী অভিনেত্রী হিসেবে এবার উৎসবের সর্বোচ্চ সম্মানিত পুরস্কার ডোনোস্টিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন লরেন্স।

গাজা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেনিফার লরেন্সের মতামত জানতে চাওয়া হয়। অভিনেত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন, ‘আমি ভীত। এটা মর্মান্তিক। গাজায় এই মুহূর্তে যা চলছে, তা গণহত্যার চেয়ে কম কিছু নয়। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমার সন্তানদের জন্য, আমাদের সবার সন্তানদের জন্য আমি আতঙ্কিত।’

কিছুদিন আগে সান সেবাস্তিয়ান উৎসবে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। একই রকম হতাশা শোনা গেল জেনিফার লরেন্সের কণ্ঠেও। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘ইদানীং যুক্তরাষ্ট্রে যে ধরনের অসম্মান ও হিংসার পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেটা শিশুদের জন্য বিপজ্জনক।’ এটা তাঁকে মানসিকভাবে কষ্ট দেয় বলে জানিয়েছেন লরেন্স।

জেনিফার লরেন্স বলেন, ‘যাদের বয়স এখন ১৮ বা তার কমবেশি, যারা ভোটের উপযুক্ত; তারা ধরেই নিয়েছে, রাজনীতিতে কোনো সততা নেই। রাজনীতিবিদেরা মিথ্যা বলেন। তাঁদের ভেতরে কোনো সহমর্মিতা নেই। আমাদের সবার মনে রাখা উচিত, বিশ্বের এক প্রান্তে এই মুহূর্তে যা ঘটছে, তা উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। আপনার দেশেও সেটা ঘটতে বেশি সময় লাগবে না।’

জেনিফার লরেন্স সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন, বিশ্বের রাজনৈতিক সমস্যাগুলো সমাধানের দায়ভার শিল্পীদের ওপর দেওয়া ঠিক হবে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বাক্‌স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিস্বাধীনতা আক্রমণের মুখে। যদি এমন কোনো কথা থাকত, যেটা বললে এই লজ্জাজনক পরিস্থিতির অবসান ঘটত; তাহলে সেটাই বলতাম। অনেক সময় তো কথা বলতেও ভয় হয়। কারণ, হয়তো আমার বক্তব্যকে বিকৃত করে রাজনৈতিক নেতারা ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করবে।’