
ভারতের হাতে পরাস্ত পাকিস্তান
- ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২:০০
-12949.jpg)
ভারতকে সর্বশেষ যেকোনো ফরম্যাটে হারিয়েছিল পাকিস্তান ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে। এরপর টানা আট ম্যাচে জয় কেবল ভারতেরই। ইতিহাসে প্রথমবার এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হলেও সেই জয়খরা কাটাতে পারেনি সালমান আলি আগার দল। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে নবমবারের মতো এশিয়ার সেরা হলো ভারত।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে পাকিস্তান। ১১.২ ওভারে দলীয় শতক স্পর্শ করলেও পরে ধসে পড়ে ইনিংস। ব্যাটিং বিপর্যয়ে গুটিয়ে যায় ১৪৬ রানে। জবাবে ভারতও শুরুতে হোঁচট খায়। ৪ ওভারের মধ্যে ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রোহিত শর্মার দল।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং সামাল দেন তিলক ভার্মা। তার দায়িত্বশীল অর্ধশতক ভারতকে জয় এনে দেয় ২ বল হাতে রেখেই।
এই ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে ফাহিম আশরাফ ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন, শুরুতেই ফেরান অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিলকে। শাহিন আফ্রিদির বলে আউট হন সূর্যকুমার যাদবও। তবে ব্যাট হাতে স্থির থেকে ভারতের জয়ের নায়ক হয়ে ওঠেন তরুণ তিলক।
আবরার আহমেদের করা নবম ওভারে ডিপ মিডে ক্যাচ তুলেছিলেন সঞ্জু স্যামসন। কিন্তু ব্যক্তিগত ১২ রানে থাকা এই ব্যাটারের একেবারে সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করে বসেন হুসাইন তালাত। সেটাই বিপদের তিরটা পাকিস্তানের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। এরপর তিলক-স্যামসন মিলে গড়েম বোঝাপড়ার জুটি। রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেছেন, সুযোগমতো হাঁকিয়েছেন বাউন্ডারি। ৫৭ রানে সেই জুটি ভেঙেছেন আবরার, ব্যক্তিগত ২৪ রানে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছেন স্যামসন।
ভারতের ওপর প্রয়োজনীয় রানরেটের চাপ বাড়ছিল। রউফের করা ১৫তম ওভারে ২ চার ও এক ছক্কায় ১৭ রান নিয়ে তা থেকে কিছুটা মুক্তি দিয়েছেন তিলক। ৪১ বলে ব্যক্তিগত ফিফটিও পেয়ে যান এই বাঁহাতি ব্যাটার। পরের ওভারে আবরার ১১ রান দিলে ৪ ওভারে ভারতের আর ৩৬ রান প্রয়োজন হয়। শেষদিকে রোমাঞ্চ ছড়ায় দুবের আউটে। তবে তিলকের সঙ্গে তার ৬০ রানের জুটি ভারতের কাজটা সহজ করে ফেলেছিল। শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ১০ রানের। চার-ছক্কায় তিলক ২ বল হাতে রেখেই ভারতের জয় নিশ্চিত করলেন।
ভারতের পক্ষে তিলক ৫৩ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৯ এবং শিভাম দুবে ২২ বলে ৩৩ রান করেন। বিপরীতে পাকিস্তানের হয়ে ফাহিম আশরাফ সর্বোচ্চ ৩ এবং শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফ ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন পাকিস্তানের দুই ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান। ফারহান ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন। ফখর ৩৫ বলে ৪৬ এবং সাইম আইয়ুব ১৪ রানে ফিরলে দলের আর কেউই দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি। শেষ ২০ রান যোগ করতে পাকিস্তান হারিয়েছে ৭ উইকেট। ফলে ১৯.১ ওভারেই তাদের ইনিংস থামে ১৪৬ রানে। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ যাদব। এ ছাড়া জাসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী ও অক্ষর প্যাটেল ২টি করে শিকার ধরেন।