স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

সিআইডি

খাবারের হোটেলে কাজ দিয়ে শুরু করেছিলেন কর্মজীবন। এরপর স্বর্ণের দোকানে কর্মচারীর চাকরি নেন। ধীরে ধীরে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই স্বর্ণ কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং পরে হয়ে ওঠেন বড় স্বর্ণ চোরাচালানকারী।

এই চোরাচালানের টাকায় তিনি গড়ে তোলেন জুয়েলারির শো-রুম, রেস্টুরেন্ট এবং কিনে নেন একাধিক ফ্ল্যাট। স্বর্ণ চোরাচালানকারী ওই ব্যক্তির নাম শ্যাম ঘোষ।

বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তার প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করেছে। বুধবার (১ অক্টোবর) সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সিআইডি জানিয়েছে, স্বর্ণ চোরাকারবারের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শ্যাম ঘোষের বিরুদ্ধে ডিএমপি কোতয়ালী থানায় ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ মামলা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, শ্যাম ঘোষ একজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ঢাকার সূত্রাপুরে তার পিতার হোটেলে কাজ করতেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে চাকরির মাধ্যমে তিনি অবৈধভাবে প্রাপ্ত স্বর্ণ কোন বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় করেছেন। এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস গোপন করেছেন।

তদন্তে দেখা গেছে, স্বর্ণ চোরাকারবারের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে শ্যাম ঘোষ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাট ও দোকান ক্রয় করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যমুনা ফিউচার পার্কের ৬ষ্ঠ তলার সি ব্লকে তিনটি দোকান (দোকান নং ৫সি-০৫৪, ৫সি-০৫৫, ৫সি-০৫৬) এবং ‘ইন্ডিয়ান ডোমেস্টিক স্পাই’ নামক রেস্টুরেন্ট। এছাড়া কোতয়ালী থানাধীন ওয়াইজঘাটে ‘বাবুলী স্টার সিটি’ ভবনের ৫ম তলায় একটি ফ্ল্যাট (ফ্ল্যাট নং ৪/সি) এবং স্বামীবাগের ‘স্বর্ণচাপা’ ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় নিজ ও তার ভাই যৌথ মালিকানাধীন ফ্ল্যাট (ফ্ল্যাট নং এ-৬) রয়েছে। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের ব্লক-বি, লেভেল-৫-এ ‘নন্দন জুয়েলার্স’ নামক স্বর্ণের দোকানও তার যৌথ মালিকানাধীন।

সিআইডি জানিয়েছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র মহানগর স্পেশাল জজ আদালত ২৫ সেপ্টেম্বর এসব সম্পত্তির উপর ক্রোকাদেশ প্রদান করেন। ক্রোককৃত সম্পত্তি রক্ষণের জন্য ডিএমপি পুলিশ কমিশনারকে রিসিভার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। সিআইডি ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এ সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।