
আফগানদের বাংলাওয়াশ করল টাইগাররা
- ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৫
-10656.jpg)
২০১৮ সালে ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। পাঁচ বছর পর সেই আফগানদেরই একই ফরম্যাটে হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা। যদিও সিলেটে অনুষ্ঠিত সিরিজটি ছিল মাত্র দুই ম্যাচের। তবে এবার ইতিহাস গড়ল সাইফ হাসানের ব্যাটে ভর করে। তাঁর দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরিতে প্রথমবারের মতো তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে রশিদ খানের দলকে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ।
আগের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল জাকের আলি অনিকের দল। আর (রোববার) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচে আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৩ রান তোলে। জয়ের জন্য ১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় সাইফ-সোহানরা।
আফগানদের জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারে মুজিব-উর-রহমানের করা মেডেন খেলেন বাংলাদেশের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর তানজিদ তামিমের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে গিয়ে শর্ট মিড-অফে ধরা পড়েন ইমন। ১৬ বলে ১৪ রানে বিদায় নেন তিনি। তবে সেই ধাক্কা সামলে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৪৭ রান এনে দেওয়ায় বড় অবদান ছিল সাইফ হাসানের ব্যাটে।
আরেকপ্রান্তে তানজিদ নড়বড়ে ছিলেন। দারউইশ রাসুলি সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করার পরের বলেই একই ভুল করেন তিনি। নবাগত বোলার আব্দুল্লাহ আহমদজাইকে উইকেট দিয়ে ফেরেন ৩৩ বলে ৩৩ রানে। একপাশে স্বচ্ছন্দেই খেলছিলেন সাইফ, কিন্তু অপরপাশে এলোমেলো ছিলেন অফফর্ম কাটানো অধিনায়ক জাকের। রিভিউ নিয়ে একবার বেঁচে যাওয়ার পরই একু ওভারে তিনি এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। জাকের ১০ রানে ফেরার পরের বলে নেমেই মুজিবের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হন শামীম পাটোয়ারী।
শঙ্কায় পড়ে যাওয়া বাংলাদেশকে বাকি সময়ে অনায়াসে পার করেছেন সাইফ ও নুরুল হাসান সোহান। সাইফ নিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩২ বলে। শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ২ চার ও ৭ ছক্কায় তিনি ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। আরেক অপরাজিত ব্যাটার সোহান করেন ১০ রান। আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন মুজিব।
এর আগে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করা আফগানিস্তান যথারীতি বিপর্যয়ে পড়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত টেলএন্ডারে মুজিবের ব্যাটে চড়ে স্কোরবোর্ডে তোলে ১৪৩ রান। তাদের পক্ষে দারউইশ রাসুলি ৩২, সেদিকউল্লাহ অটল ২৮ এবং মুজিব ২৩ রান করেন। বিপরীতে টাইগারদের হয়ে সাইফইদ্দিন সর্বোচ্চ ৩ এবং নাসুম আহমেদ ও তানজিম সাকিব নেন ২টি করে উইকেট।