মাস্টারমাইন্ড ইস্যুতে মুখ খুললেন তারেক রহমান

তারেক রহমান

জুলাই আন্দোলনে মাস্টারমাইন্ড ইস্যুতে মুখ খুলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কোনো ব্যক্তি নয়, গণতন্ত্রকামী জনগণই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান। সোমবার (৬ অক্টোবর) সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হয়।

জুলাইয়ের মাস্টারমাইন্ড বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমি কখনই আমাকে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখি না। এই আন্দোলনে গণতান্ত্রিক প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছে। 

তিনি বলেন, শুধু যে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাই সেদিন ছিল মাঠে ছিল- এমনটি অবশ্যই নয়। সেদিন মাদ্রাসার ছাত্ররাও মাঠে ছিলেন। গৃহিনীরা, কৃষক, শ্রমিক, সিএনজি চালক, ছোট দোকান কর্মচারী বা দোকান মালিক থেকে আরম্ভ করে গার্মেন্টস কর্মী - তারাও নেমে এসেছিলেন। সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরাও এই আন্দোলনে নেমে এসেছিলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অনেক সাংবাদিক আছেন যারা স্বৈরাচারের অত্যাচারে নির্যাতিত হয়ে দেশ থেকে বাইরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন, তারাও এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। কাজেই কারো ভূমিকাকে আমরা ছোট করে দেখতে চাই, না খাটো করে দেখতে চাই না।

আন্দোলনে প্রত্যেকটি মানুষের অবদান আছে জানিয়ে তারেক রহমান আরও বলেন, এই আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের জনগণের আন্দোলন, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড। কোনো দল কোনো ব্যক্তি নয়, এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এই আন্দোলন একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা। এই আন্দোলন, মানুষের এই আত্মত্যাগ সাধারণত কোনও রাজনৈতিক আন্দোলনে বা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শিশু হত্যা হয় না, শিশু শহীদ হয় না, শিশু মৃত্যুবরণ করে না। বাট আমরা দেখেছি এই আন্দোলনে প্রায় ৬৩ জন শিশু শহীদ হয়েছে, মারা গিয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আন্দোলনে ২০০০-এর মত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় ৩০ হাজারের মতন মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন অন্ধ হয়ে গিয়েছেন। এখন আমাদের সকলের উচিত হবে রাষ্ট্র ও সরকারসহ রাজনৈতিক দলগুলোর যার যতটুকু সম্ভব, সেই পরিবারগুলোর পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। তাদের এই আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানানো।