নন-ক্যাডার বিধি সংশোধন করে দ্রুত “সংশোধিত গেজেট” প্রকাশের দাবি

নন-ক্যাডার

নন-ক্যাডার বিধি -২০২৩ সংশোধন করে প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষর ও অনুমোদনের মাধ্যমে দ্রুত “সংশোধিত গেজেট” প্রকাশের দাবি জানিয়েছে চাকরি প্রার্থীরা।

আজ ১১ অক্টোবর (শনিবার) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে চাকরি প্রার্থীরা এই দাবি জানান ।

এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সাবেক ছাত্র ও টানা পাঁচবার বিসিএস ভাইভায় উত্তীর্ণ প্রার্থী মো: ইলিয়াস নেওয়াজ।তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ও ৪৩ বিসিএসের পরীক্ষার্থী মোঃ ফারুকুল ইসলাম,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার্থী জালাল আহমদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ মাকসুদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মঈন উদ্দিন সহ ১৫/২০জন পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন ।
 
লিখিত বক্তব্যে তারা জানান,”বর্তমানে নন-ক্যাডার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অচল অবস্থায় রয়েছে। এর মূল কারণ হলো “নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) (সংশোধন) বিধিমালা, ২০২৫” এখনো গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়নি। প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে প্রেরণের পর তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও অনুমোদন ও স্বাক্ষর ছাড়াই এটি আটকে আছে। যে বিধি দেশের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, সেটিকে পরিকল্পিতভাবে বিলম্বিত করা হচ্ছে।”

এ সময় তারা অভিযোগ করেন, “আমরা বিসিএস চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছি।স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও আমরণ অনশন—সব ধরনের শান্তিপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েও বারবার আশ্বাস ছাড়া বাস্তব অগ্রগতির কোনো খবর পাই নি ।বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও দীর্ঘসূত্রতায় ফেলে রাখার কারণে বাধ্য হয়ে গতকাল ১০ অক্টোবর আমরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন “যমুনা” বরাবর শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করলে বর্বরোচিত পুলিশি হামলার শিকার  হই।”

এ সময় তারা গতকালের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানান ।

বিসিএস চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীরা নন-ক্যাডার প্রক্রিয়ায় পূর্বের ন্যায় বিপুলসংখ্যক প্রার্থী সুপারিশ অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে।

বিসিএস চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে ৩ দফা দাবি জানান।

দাবিগুলো হলো:

১। “নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) (সংশোধন) বিধিমালা, ২০২৫”(২০২৩ এর নন-ক্যাডার বিধির সংশোধিত রূপ) অবিলম্বে প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষর ও অনুমোদনের মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে।

২। ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য অধিযাচিত পদসমূহে দ্রুততম সময়ে সুপারিশ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

৩। ২০২৩ এর নন-ক্যাডার বিধির সংশোধন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে চলমান(৪৪,৪৫,৪৬ ও ৪৭তম) সকল বিসিএস থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক নন-ক্যাডার পদে সুপারিশের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।