সিটবেল না পরায় মামলা খেলেন নায়লা নাঈম

নাইলা

সিটবেল না পরার কারণে মামলা খেয়েছিলেন আলোচিত ডাক্তার ও মডেল নায়লা নাঈম। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড একাউন্টে নিজের একাধিক ছবি পোস্ট করে এই মডেল লেখেন, গতকালকে একটা ভিডিও ভাইরাল হতে দেখলাম, যেখানে এক ভদ্রলোক তার গাড়ির সামনে সামান্য কাঁচে একটু ফাটা থাকার কারণে সার্জেন্ট তাকে ফিটনেস বিহীন গাড়ির ২,৫০০ টাকার মামলা দেয়। 

নায়লা আরও লেখেন, ভিডিওর মাধ্যমে উনি বারবার বলছিলেন যে উনি বছরে ৫০,০০০ টাকার ট্যাক্স দেন সরকারকে। তার সমস্ত কাগজপত্র ঠিক থাকার পরেও সামনের গ্লাসে সামান্য একটু ফাটলের কারণে তাকে ফিটনেস বিহীন গাড়ির মামলা দেয়া হয়েছে। সামনে আঙ্গুল তুলে দেখাচ্ছিল চলতি পথের ফিটনেসবিহীন বাস, লেগুনা আর রিক্সাগুলো যে কিভাবে এগুলা চলে এই সার্জেন্টদের চোখের সামনে দিয়ে। সেখানে তার রানিং গাড়িকে থামিয়ে এ মামলা দিলো। 

নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে আলোচিত এই মডেল লেখেন, একই ঘটনা আমার সাথেও ঘটেছে। সাভার থেকে যেদিন জমির রেজিস্ট্রি করে ঢাকায় ফিরছিলাম, এফডিসির সিগনাল পার হয়ে হাতিরঝিল ঢুকছিলাম তখন একইভাবে চলন্ত গাড়ি ডাক দিয়ে থামানো হলো এবং আমার সিটবেল্ট পরা না থাকার কারণে মামলা দিয়ে দিলো।

তিনি আরও লেখেন, সাভার টু কাওরানবাজার সিগনাল, এই যাত্রাপথে দুইবার ব্যাটারি রিক্সা গাড়ির পিছনে ঘষা দিয়ে গেছে। একটা তো একদম গাড়ির উপর উলটে পরতে নিয়েছিলো প্রায়। এদের কারো কিছুই হলো না, মামলা খেলাম আমি শুধু সিটবেল্ট না পরার কারণে। 
মানলাম ভুল করেছি, কিন্তু এ ভুলে ভরা শহরে ভুল দেখতে দেখতেই মনে হয় জীবন পার হয়ে যাবে। 

ঘটনার সঙ্গে নিজের ছবি দেওয়া নিয়ে তিনি লেখেন, ক্যাপশনের সাথে ছবির মিল না থাকার জন্য আবার মাইন্ড খাইয়েন না। সারাদিন ব্যাপি অসহ্য বৃষ্টি, আপনারা সেটা ইনজয় করেন। আমি ঘুমাতে গেলাম।

অভিনেত্রীর এই পোস্টে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। এক নেটিজেন লেখেন, এই সিট বেল্টের মামলা আমিও খেয়েছি।তাও চলন্ত গাড়িতে নয়।গাড়িতে বসে স্ট্রিট ফুড খাচ্ছিলাম।বসা গাড়িতে কেও সিট বেল্ট লাগায়? শুধু শুধু এসে আমাকে বলে আপনার সিট বেল্ট লাগান নি কেন? এইসব কি? বাংলাদেশে জন্মেছি এটাই অপরাধ।

অপর একজন লেখেন, তাদের ইনকামের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের অস্ত্র হল, প্রাইভেট ভেহিকেল। এর বাইরে রাস্তায় কত ধরনের আর ডিজাইনের গাড়ি চলে , কেমনে চলে কেউ জানে না । আর লোকাল বাস ধরবে কি উলটা মালিকে সমিতির ভয়ে বিআরটিসি রাস্তায় ঠিকমত চলতে পারে না।