
১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের রায়
- ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩০
-12231.jpg)
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় জড়িত অভিযোগে হেফাজতে থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এর আগে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা জামিনের আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে ১৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রাইব্যুনালে আনা সেনা কর্মকর্তারা হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল মখচুরুল হক (অব.), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার ও কর্নেল কেএম আজাদ।
দুই মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে ১৭ ও আরেকটিতে ১৩ জন আসামি। দুটিতেই শেখ হাসিনার নাম রয়েছে। এছাড়া ২৩ সেনা কর্মকর্তার ১৫ জনই হেফাজতে রয়েছেন।
এদিকে, সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোর থেকেই ট্রাইব্যুনাল সংলগ্ন হাইকোর্টের মাজারগেট, মৎস্য ভবন, কাকরাইলসহ একাধিক স্থানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের লক্ষ্য করা গেছে।