গোপালগঞ্জে সহিংসতায় প্রাণহানি নির্বাচন ঘিরে কি না, এখনই বলা যাবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের এক সপ্তাহের মাথায় গোপালগঞ্জে সহিংসতায় এক ব্যক্তি নিহতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এ ঘটনার মূল কারণ বলা যাবে না। এটা কি নির্বাচনী সহিংসতা, নাকি পারিবারিক দলাদলি থেকে হয়েছে, তা এখনই সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে না।
৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। এরপর ১৪ মে গোপালগঞ্জ সদরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হন। নিহত ওসিকুর ভূঁইয়া (২৭) গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বি এম লিয়াকত আলীর সমর্থক ছিলেন। হামলাকারীরা বিজয়ী প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূঁইয়ার সমর্থক ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। ওই ঘটনার পর বিজয়ী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘ঘটনাটি নির্বাচনের বেশ কয়েক দিন পর ঘটেছে। সহিংসতার ঘটনাটি নির্বাচন নিয়ে নাকি ব্যক্তিগত, পারিবারিক দলাদলি বা সামাজিক দলাদলি থেকে হয়েছে, এ বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে না।’
পুলিশ এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়েছে মো. আলমগীর বলেন, ‘এখন হয়তো কেউ বলবেন এটা পারিবারিক সমস্যা, কেউ বলবেন জমিজমা নিয়ে সমস্যা, কেউ বলবেন রাজনৈতিক সমস্যা। যতক্ষণ পর্যন্ত এটা বিচারিক আদালতে না যাচ্ছে, অভিযোগপত্র না হচ্ছে, তদন্ত না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত মূল কারণ বলা যাচ্ছে না।’
আগামী মঙ্গলবার দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে। মো. আলমগীর বলেন, তাঁরা আশা করছেন দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। প্রথম ধাপে ছোটখাটো যেসব সমস্যা হয়েছে, সেগুলো যাতে না হয়, সে জন্য প্রশাসন ও পুলিশ অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের চেয়ে সুষ্ঠু হবে। ভোটাররা যাতে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন এবং বাধাহীনভাবে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করা হবে।
মো. আলমগীর বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার কেমন হবে, তা আগে থেকে বলা যাবে না। পরিবেশ যদি ভালো থাকে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে ভোটাররা আগ্রহী হতে পারেন। তবে যেহেতু সব দল অংশ নিচ্ছে না, তাই ভোটের হার নিয়ে আগাম বলা যাবে না।
ভোটের হার কম হওয়ার বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় কারণ, বিএনপির নির্বাচন বর্জন করা। তবে এটি একমাত্র কারণ নয়, আরও কিছু কারণ আছে। বিশেষ করে আর এক বড় কারণ হলো, স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকে যেতে চান না। তিনি বলেন, ভারতে সব দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তারপরও সেখানে ভোটের হার ৬০ শতাংশ।
মো. আলমগীর বলেন, প্রথম ধাপে ভোটের হার কম হওয়ার কিছু কারণ ছিল। ওই দিন তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি এসব কারণে ভোট কম পড়েছে।
এআর- ১৯/০৫/২৪
Share your comment :