মেয়াদি শিল্পঋণ ও গৃহঋণ : সুদ বাড়ায় কিস্তির টাকা বাড়ানো যাবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাজারভিত্তিক করায় ঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় কিস্তির টাকার অঙ্ক বেড়েছে। ফলে গ্রাহকদের কিস্তি পরিশোধে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে শিল্প খাতে মেয়াদি ঋণ ও ভোক্তা ঋণের আওতায় বিতরণ করা গৃহঋণের কিস্তি পরিশোধের শর্ত শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে সুদের হার বাড়ার কারণে শিল্প খাতে মেয়াদি ঋণ ও ভোক্তা ঋণের আওতায় বিতরণ করা গৃহঋণের কিস্তির টাকার অঙ্ক বাড়ানো যাবে না। আগের পরিমাণেই কিস্তি আদায় করতে হবে। সুদের হার বাড়ার কারণে কিস্তির টাকার অঙ্ক বাড়লে বাড়তি অর্থ একটি সুদবিহীন ব্লক হিসাবে স্থানান্তর করতে হবে। ওই হিসাব থেকে পরবর্তী সময়ে কিস্তি আদায় করতে হবে।
এ বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, ১ জুলাই থেকে ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। এতে ঋণের সুদহার আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে গেছে। বিশেষ করে গত বছরের ১ জুলাইয়ের আগে বিতরণ করা শিল্প খাতের মেয়াদি ঋণ ও ভোক্তা ঋণের আওতায় গৃহঋণের সুদহার এখন আর আগের মতো নেই। ওইগুলোর সুদহারও বাজারভিত্তিক হয়ে সুদ বেড়েছে। কারণ বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী ছয় মাস পরপর ব্যাংক নতুন হারে সুদ আরোপ করতে পারে।
২০২৩ সালের ১ জুলাইয়ের আগে বিতরণ করা সব ঋণের ক্ষেত্রেই ৬ মাসের বেশি হয়ে গেছে। যে কারণে ওইসব ঋণের সুদহারও বাজারভিত্তিক হয়ে গেছে। এতে সুদহারও বেড়ে যাওয়ায় কিস্তির টাকার অঙ্কও বেড়ে গেছে। এ কারণে গ্রাহকদের কিস্তি পরিশোধে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে কিস্তি পরিশোধের নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত বছরের ১ জুলাইয়ের আগে শিল্প খাতের মেয়াদি ঋণের সুদ ছিল ৮ শতাংশ। এখন তা বেড়ে ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ হয়েছে। ভোক্তা ঋণের আওতায় গৃহঋণের সুদহার ছিল ৮ থেকে ৯ শতাংশ। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সুদ বাড়ার কারণে কিস্তির অঙ্কও বেড়েছে।
এতে বলা হয়, গত বছরের ১ জুলায়ের আগে মঞ্জুরীকৃত মেয়াদি শিল্পঋণ এবং ভোক্তা ঋণের আওতায় প্রদত্ত গৃহঋণের ক্ষেত্রে সুদহার বাড়ার কারণে কিস্তির অঙ্ক বাড়ানো যাবে না। কিস্তির পরিমাণ আগের মতোই অপরিবর্তিত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ঋণস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নতুন সুদহারে কিস্তির পরিমাণ বাড়লে বাড়তি অর্থ এখন আদায় করা যাবে না। আগের হারে কিস্তি আদায় করতে হবে। বাড়তি অর্থ একটি সুদবিহীন ব্লক হিসাবে স্থানান্তর করতে হবে। এসব অর্থ পরবর্তী সময়ে ব্যাংক গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে আদায় করতে হবে।
সার্কুলারে বলা হয়, বেতনভোগী চাকরিজীবীদের বেতনের বিপরীতে গৃহীত গৃহঋণের ক্ষেত্রে ওই গ্রাহকের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের সময়সীমার ভিত্তিতে ব্যাংক তাদের নিজস্ব বিবেচনায় ব্লক হিসাবে রক্ষিত অর্থ পরিশোধের কিস্তি ও মেয়াদ নির্ধারণ করতে পারবে। কোনো ঋণখেলাপি এ সুবিধা পাবে না।
এআর-৯/৪/২৪
Share your comment :